গত শনিবার (০৪ জুন ২০২২ খ্রি.) দৈনিক প্রথম আলোর একটি সংবাদশিরোনাম ছিল, ‘যানজটে আটকা পড়ে মোটরসাইকেলে ১০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন তথ্যমন্ত্রী’। ঘটনাটি চট্টগ্রামের। রাজধানী ঢাকাতেও এই একই সমস্যা এবং অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সেটা ঢাকার জন্যে হয়ে পড়েছে, বোধ করি একেবারেই নিরসন অযোগ্য। এমনকি এই সমস্যাটি ছোট্ট শহর সুনামগঞ্জেও ইদানিং অনুভূত হচ্ছে, যখন তখন যানজট লেগে যাচ্ছে বহুল পরিমাণে লোক চলাচলের রাস্তার এখানে সেখানে। বিশেষ করে স্টেশনরোডে জনজটের সঙ্গে যানজটের প্রকোপ অত্যন্ত বেশি। এই যানজটে পড়ে বাহনে বসে নাকাল হওয়ার অবস্থা (অবস্থাটি অবশ্যই দুরবস্থা) বলে দিচ্ছে যে, ঢাকার মতো সুনামগঞ্জের রাস্তায়ও যান চলাচলের আনুপাতিক হার বেড়েছে। ঢাকায় সাধারণ যাত্রীযানের সঙ্গে অধিক হারে বেড়েছে ধনাঢ্য মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। ঢাকার কোনও কোনও পরিবারে প্রায় তিন প্রজন্মের ছোট বড় প্রত্যেকের জন্যে আছে একটি বা একাধিক গাড়ি। আর অন্যদিকে ছোট বড় অসংখ্য আমলাদের গাড়ি তো আছেই। এইসব গাড়ি কাজে-বেকাজে রাস্তায় নামে এবং তৎপ্রেক্ষিতে রাস্তায় যানের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে যানজট অনিবার্য হয়ে উঠে ও কেবল বেড়েই যায়, কীছুতেই কমে না। সুনামঞ্জের মতো মফস্বল শহরে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম হলেও এখানে রিকসা, ইজিবাইক ও সিএনজির সংখ্যা বেড়েছে অধিক মাত্রায় এবং রাস্তায় এই মাত্রাতিরিক্ত যানের উপস্থিতি মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটাতে ভূমিকা রাখছে। চাকার তলে পড়ে মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, এমন উদাহরণ এই ছোট্ট শহরে নেই এমনও নয়, অদূর অতীতে এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এখানেও। বিদগ্ধমহলের ধারণা এমতাবস্থায় এই শহরের যানজট নিরসনে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।