শহীদনূর আহমেদ ::
দুই দফা বন্যায় বিধস্ত সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার সড়ক পথ। বন্যার পানিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিপ্তর (এলজিইডি) এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ৬১০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রয়োজন পড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়কে চলাচল করতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সড়কপথ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্যার প্রবল ¯্রােত, হাওরের ঢেউয়ে সড়ক বিভাগের আওতাধীন ৮টি সড়কের ১১০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কের বাঁধ ওয়াসআউট, বিটুমিনাস সার্ফেস উঠে যাওয়া, সেতুর অ্যাপ্রোচ ধস, খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় একাধিক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারাবাজারের ২২ কিলোমিটার সড়ক। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক, সুনামগঞ্জ-বিশ^ম্ভরপুর সড়ক, জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক, মদনপুর-দিরাই-শাল্লা সড়ক, দোয়ারাবাজার-সুনামগঞ্জ সড়ক, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক এবং পাগলা-জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কপথ সংস্কারে ৩০০ কোটি টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রাং।
অপরদিকে সাম্প্রতিককালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় সড়ক প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর অভ্যন্তরীণ ও গ্রামীণ সড়কপথ। এই দপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৫০০ কিলোমিটার সড়ক ও ৮৬৬ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বন্যার পানির ¯্রােত ও হাওরের ঢেউয়ে ১২ উপজেলার গ্রামীণ একাধিক সড়ক মাঝপথে ওয়াশআউট হয়েগেছে। রাস্তার সোল্ডার ভেঙেছে, ঢেউয়ের আঘাতে সড়কের প্রোটেকশন সাইট ব্লক ক্ষতিসহ মাটির রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলার মধ্যে দোয়ারাবাজার, ছাতক, শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, সদর ও বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার গ্রামীণ সড়কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে প্রায় ৯২৬ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন।