ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে একটি সড়কে মাটি ভরাট কাজের প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কাজ না করেই কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) বরাদ্দের ১০টন চাল তুলে তা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের হলিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিব সবুজ মিয়া (৩৭) স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় সুবিচার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের হলিদাকান্দা গ্রামের এলজিইডির ব্রীজ থেকে লংকাপাথারিয়া গ্রামের করিম হাজির বাড়ি পর্যন্ত প্রকল্পে মাটি ভরাট করার জন্য গত অর্থ কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১০টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই কাজের প্রকল্প কমিটির সভাপতি হলেন ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সদস্য সচিব হলেন একই ইউনিয়নের হলিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মিয়া। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্প কমিটির দু’জন সভাপতি দুটি কিস্তিতে বরাদ্দকৃত ১০টন চাল উত্তোলন করেন।
অভিযোগকারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের হলিদাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মিয়া (৩৭) বলেন, এই সড়কে মাটি ভরাট কাজের জন্য আমাকে প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিব রাখা হয়েছে তা আমার জানা ছিল না। প্রকল্প কমিটির কাগজপত্রে আমি কোনোরকম স্বাক্ষর দিইনি। এমনকি আমার ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডও দিইনি। আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করাসহ ছবি ও আইডি কার্ড ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান প্রকল্প কমিটি দাখিল করেছেন। সড়কে মাটি ভরাট কাজ না করেই বরাদ্দ পাওয়া কাবিখার ১০টন চাল তুলে তিনি তা আত্মসাত করেছেন। সম্প্রতি বিষয়টি আমি জানতে পেয়ে আমি এ নিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান দাবি করেন, সবুজ মিয়া প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে প্রকল্প কমিটির কাগজপত্রে তিনি নিজে স্বাক্ষর করেছেন। তার ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডও দিয়েছেন। স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে রহস্যজনক কারণে তিনি এখন তা অস্বীকার করছেন। প্রকল্পে মাটি ভরাট কাজ সুষ্ঠুভাবে স¤পন্ন হয়েছে। চাল আত্মসাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় আমি একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।