মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ ::
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারের রোড ডিভাইডারগুলো ভেঙে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সংস্কারের উদ্যোগ নেই দায়িত্বশীলদের। এতে জনসাধারণের চলাচলে যেমন একদিকে ভোগান্তি, অন্যদিকে সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে শতবর্ষী সাচনাবাজার। তাছাড়া রোড ডিভাইডারগুলো ভেঙে পড়ার কারণে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ঠেলাগাড়িসহ ফুটপাত ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলে চলে গেছে। এতে জনভোগান্তি তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এক সময় সাচনাবাজারের প্রধান গলি সিএনবি রোড থেকে শুরু করে লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থায়ী টং দোকান ছিল। এতে বাজারে প্রতিনিয়তই যানজট লেগে থাকতো। অবৈধ দখলে গলিপথগুলো সরু হওয়ার কারণে রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও জেলা শহর থেকে কোন সরকারি অথবা গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি আসলে তা সাচনা-জামালগঞ্জ ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারতো না। বাধ্য হয়েই অ্যাম্বুলেন্স ও সরকারি অথবা গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি সাচনা-সুনামগঞ্জ সিএনজি স্টেশনে রেখে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হতো। এতে রোগীসহ অন্যান্যরা ভোগান্তিতে পড়তেন। জানাযায়, ২০১৮ সালে তৎকালীন জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আল ইমরান বাজারে যানজট নিরসন ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য গলিতে থাকা অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। এতে উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, বণিক সমিতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদ মিটিংয়ে রেজুলেশন করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সৌন্দর্য্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নেন। পরে পুরো বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে গলিগুলে দখলমুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার উন্নয়ন তহবিল থেকে বাজারের সিএনবি রোডের আলভা-ারী হোটেল পয়েন্ট থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত রাস্তার মাঝে স্টিলের ডিভাইডার বসানোর উদ্যোগে নেয়া হয়। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয় সরকারের। ডিভাইডারগুলো বসানোর পর বছরখানেক ভাল গেলেও তারপর থেকে একটি মহল পুনরায় ফুটপাত দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম. নবী হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদাররা রাস্তাটি দখল করে আছে। উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। পরে এখানে ডিভাইডার বসানো হয়। এখন এই ডিভাইডারগুলো ভেঙে ফেলায় আবারও অসাধু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত আর পরিবহন শ্রমিকরা বাজারের প্রধান সড়কটি দখল করে রেখেছে। তাদের আবারও উচ্ছেদ করে ডিভাইডার সংস্কার করা উচিত।
জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম বলেন, শীঘ্রই সাচনাবাজারের ডিভাইডার সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।