1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

চুনাপাথর পরিবহনে নিয়োজিত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান

  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১

গত দুইমাস ধরে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। কঠিন সময় পার করছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। এমনই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে গত ৯ জুলাই দৈনিক সুনামকণ্ঠে।
সংবাদে বলা হয়েছে, দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাইরগাঁও গ্রামের পাশে চেলা নদী। এই নদীর খেয়াঘাটে বাঁধা রয়েছে শতশত বারকি নৌকা, এসব নৌকা শুধুমাত্র ইনপুটের মাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। নৌকাগুলো লাইসেন্স প্রাপ্ত একমাত্র চুনাপাথর বহনের কাজে ব্যবহার করতে হয় বলে অন্যান্য মালামাল বহন করাও সম্ভব হয় না। ফলে শ্রমিকরা যেমন মুজুরি পাচ্ছেন না, তেমনি নৌকার মালিকরাও ভাড়া পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে চেলা নদীতে পানি থাকায় নির্দিষ্ট নৌকা দিয়ে চুনাপাথর আমদানি করা সহজ মাধ্যম। কিন্তু চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় নৌকার মালিক, শ্রমিক এবং আমদানিকারকরা পড়েছেন বিপাকে। গত ৬ মে সর্বশেষ চুনাপাথর ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ভারতের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর সেখানকার প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য চুনাপাথর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দু’দেশেই চলছে কঠোর লকডাউন। ফলে সীমান্তবর্তী এই এলাকার ইনপুট ব্যবসা নির্ভরশীল শ্রমিকদের আয় উপার্জন বন্ধ হয়ে পড়েছে।
শ্রমিকদের একমাত্র আয়ের পথ ছিল- সীমান্তের ওপার থেকে এপারে ইনপুটের মালামাল ওঠানামা ও পরিবহন কাজের মাধ্যমে।
জানা যায়, এই আমদানিকৃত চুনাপাথর সিংহভাগই বিক্রি হতো ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ও লাফার্জের কাজে। আমদানি বন্ধ থাকায় শুধু শ্রমিকরাই নয় এই ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরাও এখন ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে তারা বেকার এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের দাবি এই দুঃসময়ে জনবান্ধব সরকারই পারে তাদের আর্থিক অনুদান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে। আমরা আশা করি- সংশ্লিষ্টরা তাদের পাশে দাঁড়াবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com