কথায় আছে নিঃশ্বাসের বিশ্বাস নেই। করোনা মহামারি মানব জীবনকে ওলট-পালট করে দিচ্ছে। এদিকে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ যেকোনো মুহূর্তে তীব্র হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছেন, ভারতের এই ভয়াল জিনোম আমাদের দেশে মৃত্যুর বন্যা বয়ে দিতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, যদি এই ট্রিপল মিউটেশান ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাহলে কল্পনাহীনভাবে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে।
ইতিমধ্যে ভারত থেকে আসা ৬ জনের মধ্যে এই মিউটেশন শনাক্ত করেছেন যশোর জেলার চিকিৎসকরা। তবে ভ্যারিয়েন্ট স্তূপ ট্রিপল মিউটেশনের নয় এটা তারা নিশ্চিত করেছেন। ভারতে করোনার ইউকে মিউটেশান ও ট্রিপল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট একযোগে সংক্রমিত করেছে। একারণে শিশু, কিশোর, যুবকসহ সব বয়সী মানুষ সংক্রমণের কবলে পড়েছে। একটি হিসেবে দেখা যায়- এপ্রিলের শেষ দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনার ট্রিপল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এই ভ্যারিয়েন্টের নাম বেঙ্গল স্ট্রেইন। এ মহাবিপজ্জনক জীবাণু যদি বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে মহামারি দেখা দিবে, যা বাংলাদেশের সরকার বা জনগণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকবে না। ভারতীয় ভাইরাসের ধরনটি বি১-১৬৭ নামে পরিচিত।
আমরা ভারতে করোনা মহামারির ভয়াবহতা দেখেছি। যেমনি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কোনোভাবে দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট বিস্তার লাভ করে তাহলে আমাদের মহাবিপদের মুখোমুখি হতে হবে। এমন পরিস্থিতি যাতে না হয় সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। ব্যক্তিগত সচেতনতা, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। কিন্তু আমাদের অনেকের মধ্যেই এ ব্যাপারে অনীহা লক্ষ করা যাচ্ছে। যা আমাদের সামনে মহাবিপদকেই ডেকে আনছে। তাই সময় থাকতে সাবধান হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে – এর কোনো বিকল্প নেই।