তেলের দামের সঙ্গে পরিবহন যানের ভাড়ার একটি সম্পর্ক আছে। যেহেতু যানগুলো চলে তেলে। তেলের দাম বাড়লে যান চালানোর খরচ বাড়ে। যানমালিকরা সে বাড়তি খরচের লোকসান গুনতে রাজি নন। তাঁরা যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়ে সে লোকসান পুষিয়ে নেন। তেলের বাড়তি দামটা প্রকারান্তরে যাত্রীসাধারণের ঘাড়ে বর্তায়। পুঁজিবাদী অর্থনীতির এটাই আদত কৌশল। নীতি ও যুক্তির নিয়ম মেনে তেলের দাম বাড়লে ভাড়ার দাম বাড়ে বিপরীতে তেলের দাম কমলে ভাড়ার দামও কমার কথা। কিন্তু অর্থনীতি নীতি না-মানা একটি বিজ্ঞান। সে ভালমন্দের বা ন্যায়নীতিযুক্তির ধার ধারে না। অর্থনীতির একমাত্র আরাধ্য মুনাফা। ব্যবসায়ী মুনাফার পূজারি। যানমালিকরা এর ব্যতিক্রম নন। যানপরিবহনের ভাড়া বাড়লে আর কীছুতেই কমে না, তেলের দাম কমলেও না। এটাই পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনিবার্য নিয়ম। আর মনে রাখতে হবে ভাড়া নির্ধারণ সরকারি কোনও বিষয় নয়। এটা সম্পূর্ণ পরিবহন মালিকদের কর্তৃত্বাধীন। যাত্রীসাধারণ কেবল ভাড়া কমানোর কামনা করতে পারেন, আর সেটা অরণ্যে রোদনে পর্যবশিত হলে, কারও কীছু করার নেই। এই সমস্যা নিরসনে একমাত্র উপায় হল অন্য কোনও মালিকানার পক্ষ থেকে সড়কে যান নামিয়ে দিয়ে ভাড়া কম নির্ধারণ করে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা। তার জন্য একটা সামাজিক বিপ্লব চাই। অপেক্ষাই উত্তম।