গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিলÑ “এক দিনে সাত গরু চুরি”। সংবাদ পাঠে জানা যায়, ‘বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউপির শ্যামারকান্দি গ্রামের মাঠ থেকে একদিনে সাতটি গরু চুরি হয়েছে।’ সঙ্গত কারণেই গরু চুরি যাওয়া গৃহস্থদেরকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা পুষিয়ে নেওয়া তাদের জন্য সহজ নয়। শুধু বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়ই নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ই কৃষকের বাড়ি থেকে গরু চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গরু চুরি কারো চোখে হয়তো সামান্য চুরি মনে হতে পারে। কিন্তু গ্রাম জীবনের সাথে স¤পৃক্ত মানুষ জানেন, একজন কৃষকের একটা গরু চুরি হওয়া মানে, তার কী বিপুল ক্ষতিটা হয়ে যায়। অনেক পরিবার এখনো নির্ভর করেন ঘরের গাভীর দুধ বিক্রির আয়ের উপর। এই আয়ের উৎস নষ্ট হলে তার গোটা সংসারটাই ভেঙে পড়ে। এক একটা গরু চুরি এক একজন কৃষক তথা গৃহস্থের চরম সর্বনাশ ঘটায়। এ অবস্থায় পুলিশ তৎপর হলে অনেকটা কার্যকর প্রতিকার সম্ভব। বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলার গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেক উন্নত। গ্রাম পর্যায়ে পুলিশি টহলের ব্যবস্থাও আছে। অপরাধীদের গতিবিধির তথ্য ও পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি থাকছে পুলিশের কাছে। যাদের গরু চুরি হয়, তাদেরকে থানায় সহজে ডায়েরি করতে পারার ব্যবস্থা করে পুলিশ প্রতিবিধানমূলক পদক্ষেপ নিলে এ উপদ্রব বহুলাংশে বন্ধ করা সম্ভব। আমাদের প্রত্যাশা, আইনশৃংখলা বাহিনী গরু চোরদের ধরা, চোরাই গরু উদ্ধারের ব্যাপারে প্রত্যাশিত তৎপরতা চালাবেন এবং দরিদ্র গৃহস্থদের সমূহ সর্বনাশের পথ বন্ধ করবেন।