সুনামগঞ্জ শহরে বাতিহীন রিকশা চলাচল যেন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই শহরে একসময় এতো রিকশা ছিল না। স্বল্প সংখ্যক রিকশা থাকলেও রাতে এগুলোতে বাতি ব্যবহার করতে চালকরা। কিন্তু দিনে দিনে রিকশার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বেড়েছে বাতিহীন রিকশা চালানোর প্রবণতা। সুনামগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ বার বার রিকশায় বাতি লাগানোর নির্দেশনা দিয়ে আসলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। বাতিহীন রিকশা চলাচলের কারণে শহরে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রী ও পথচারীরা। এ বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখালেখিও হয়েছে।
“শহরে বাতিহীন রিকশা : নির্দেশ মানছে না চালকরা” শীর্ষক সংবাদ গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়, দুর্গাপূজার আগেই সুনামগঞ্জ পৌরসভা থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল শহরে সন্ধ্যার পরে চলাচল করা রিকশাতে বাতি লাগানোর জন্য। এ জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ শহরে মাইকিংও করে রিকশা চালকদের সচেতনতার জন্য। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের কোন কথা কানে তুলছেন না রিকশা চালকরা। এক্ষেত্রে নীরব রিকশা মালিক ও চালকদের সংগঠনগুলোও। সংগঠনের নেতারা এ বিষয়ে রিকশা চালকদের সচেতন করা কথা জানালেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় চলাচলকারী রিকশার সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। সবগুলো রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয় পৌরসভা থেকে। এছাড়া আরো প্রায় দেড় হাজার রিকশা আছে শহরতলির আশেপাশের এলাকার। রিকশার সংখ্যা বেশি হলেও গড়ে শহরে প্রতিদিন দেড় হাজার রিকশা চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে এসব রিকশা সন্ধ্যার পর বাতি ছাড়াই শহরে চলাচল করে। বাতিহীন রিকশা চলাচল করার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন রিকশার যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
আমরা লক্ষ্য করছি, শহরে ওইসব রিকশার পাশাপাশি অনেক অটোরিকশার লাইটও জ্বলে না। তাছাড়া ওইসব পরিবহনের প্রায় চালকই অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক। অনাকাক্সিক্ষত সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাতিহীন রিকশা ও অটোরিকশার চালকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর ব্যবস্থা নিবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।