1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত কার্যকর করতে হবে

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আগমনের চার বছর পূর্তি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে থেমে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানাগেছে, রাখাইনে নতুন করে দমন-পীড়ন ও কথিত শুদ্ধি অভিযানে নেমেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সর্বশেষ, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মিয়ানমারকে চারটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। গত ২২ জানুয়ারি আইসিজের বিচারকরা সর্বসম্মতভাবে ওই রায় দেন। এই রায়কে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হয়েছে।
বস্তুত, আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। হেগের পিস প্যালেসে গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এ মামলার ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়। কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চললেও এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক আদালত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আদেশ দেন। এই আদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল, অন্তর্বর্তী আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী চার মাসের মধ্যে আদালতকে মিয়ানমারের জানাতে হবে। এরপর আইসিজেতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জেনোসাইডের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পর পর আদালতে অন্তর্বর্তী আদেশ পালন বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। মিয়ানমার এই বিষয়ে কোনো প্রকার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। আমরা আশা করছিলাম, আইসিজের আদেশ নিঃসন্দেহে মিয়ানমারের ওপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবে বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রিত। তাদের প্রতি সমবেদনা এবং মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি সংহতি এবং রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের তাগিদ জানিয়ে আসছে বিশ্ব সম্প্রদায়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। দুই দফা সময় দিয়েও তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে টালবাহানা শুরু করে। ভারত, জাপানের মতো দেশগুলো চায় এ সংকট এ অঞ্চলের মধ্যেই সমাধান হোক। এই ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়ার সমর্থনও জরুরি। মানবিক কারণেই প্রতিবেশী মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের বাড়তি দায়িত্ব বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই বড় বোঝা। আমরা আশা করছি, দ্রুত এই সংকটের সমাধান হবে। এ অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, স্থিতি এবং নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান অপরিহার্য। এছাড়া রোহিঙ্গাদের কারণে নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। তাই করোনা মহামারিকে পুঁজি করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মিয়ানমারের ওপর জোরালো চাপ রাখতে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com