গণমাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট থেকে কৃষককে বাঁচানোর কথা বলা হয়েছে, বলেছেন আমাদের কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুস শহীদ এমপি। তাঁকে অশেষ ধন্যবাদ।
সংবাদবিরণীতে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, ‘এই মওসুমে মধ্যস্বত্বভোগীরা যেনো কোনো ধরনের সুবিধা নিতে না পারে, সিন্ডিকেট করে কৃষকদের বিপদে ফেলতে না পারে সেদিকে আমাদের সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রশাসন ও জনপ্রতনিধিদের সজাগ থাকতে হবে। সরকার কৃষকের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য দিতে চায়। শেখ হাসিনার সরকার কৃষি ও কৃষককে গুরুত্ব দিয়েই কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।’
মন্ত্রী যে- ‘মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট’-এর কথা বলেছেন সেটা একটি পুরনো সমাজসাংস্থিতিক বাস্তবতা। বিশেষ করে ভাটি অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত বোরো ফসলের একটি অংশ আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। বিশেষজ্ঞরা এই ফসল লুণ্ঠনকে কাঠামোগত সহিংসতার একটি প্রকরণ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাঁরা মনে করেন, সে-সিন্ডিকেট তৃণমূলের মাঠপর্যায়ে সক্রিয় সুবিধাবাদী লুটেরাদের সঙ্গে উপরতলার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে গড়ে উঠে। এই সিন্ডিকেটকে নির্মূল করতে না পারলে কেবল সতর্কতা জারি করে সরকার ঘোষিত কৃষকের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করা যাবে না । আপাতত সংক্ষিপ্ত সম্পাদকীয়র পরিসরে ভাটি অঞ্চলে বোরোধানের উদ্বৃত্ত আত্মসাতে সক্রিয় মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট সম্পর্কে এটুকুই বলে নিয়ে এই সিন্ডিকেট উচ্ছেদের দাবি জানাচ্ছি।