ধর্মপাশা ও মধ্যনগর প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার সবকটি হাওরের বোরো জমির শতভাগ ধান কর্তন স¤পন্ন হয়েছে। এ অবস্থায় এখানকার বিভিন্ন হাওরে থাকা ১৩টি স্লুইচ গেইট দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ছোট বড় ৮০টি হাওর রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে এসব হাওরে ২৫ হাজার ১৮০ হেক্টর ও হাওরের বাইরে থাকা উঁচু জমিতে ছয় হাজার ৭২৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। গত বুধবার (১ মে) এখানকার ৮০টি হাওরের শতভাগ বোরো জমির ধান কর্তন শেষ হয়েছে। এ ছাড়া হাওরের বাইরে থাকা ছয় হাজার ৭২৭ হেক্টর বোরো জমির মধ্যে গতকাল বৃহ¯পতিবার (২ মে) পর্যন্ত পাঁচ হাজার ২০০ হেক্টর বোরো জমির ধান কর্তন শেষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন (চাল)। প্রতি কিয়ার (৩২ শতক) জমিতে ধানের উৎপাদন হয়েছে গড়ে ২০ থেকে ২৩ মণ। এই দুটি উপজেলায় ২১৫টি কম্বাইন হারভেষ্টার (ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়া) যন্ত্র, ৫টি রিপার (ধান কাটার যন্ত্র) দিয়ে ধান কাটা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় ও বহিরাগত ২৪ হাজার ২০০জন শ্রমিক ধান কাটায় নিয়োজিত ছিলেন।
ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, এবার ব্রি-ধান ২৮এর পরিবর্তে এই দুই উপজেলার কৃষকেরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে ব্রি-ধান ৮৮ জাতের ধান আবাদ করায় প্রতি বিঘা (১ বিঘা = ৩৩ শতক) জমিতে দুই থেকে তিন মণ করে ধান বেশি পেয়েছেন। শ্রমিকদের পাশাপাশি কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিয়ে হাওরের বোরো জমির ধান কর্তন করায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এক সপ্তাহ আগে এবার হাওরের বোরো ধান কর্তন শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট বোরো জমির ধান কর্তন আগামী ১৩ মে’র মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।
ধর্মপাশার ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন ও মধ্যনগরের ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, হাওরের শতভাগ বোরো জমির ধান কর্তন শেষ হয়েছে। এখন মাছের প্রজনন মৌসুম। তাই হাওরগুলোতে পানি প্রবাহের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই দুটি উপজেলার ১৩টি স্লুইচ গেইট যতদ্রুত সম্ভব খুলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।