1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতায় নিরুৎসাহের কারণ ব্যাখ্যা করলেন শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতেই মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য পরিবার বলতে তিনি ‘নিজে (মন্ত্রী বা এমপি), তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে’ বুঝিয়েছেন বলেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রেখে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। সে ক্ষেত্রে যারাই জিতে আসে আসুক… মানুষ যাকে চাইবে সে-ই আসবে।
বৃহ¯পতিবার (২ মে) গণভবনে সম্প্রতি থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল দেশটি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি-মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা শোনেননি – এমন মন্তব্য করে এ বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর মত জানতে চাইলে সরকারপ্রধান বলেন, ফ্যামিলি ফর্মুলা কী… নিজে, ছেলে-মেয়ে স্ত্রী; এই তো? এর বাইরে তো পরিবার হয় না। একবার হিসাব করেন তো, কয়জনের (মন্ত্রী-এমপি) ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী ভোটে দাঁড়িয়েছে। হ্যাঁ, আমি বলেছিলাম। কারণ হচ্ছে, আমরা চাইছি- ইলেকশনটা প্রভাবমুক্ত যেন হয়, মানুষ যেন স্বাভাবিকভাবে ভোটটা দিতে পারে। সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।
এসময় নির্বাচনে প্রার্থিতায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দলে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এক একটা জায়গায়.. তারা আগে থেকেই… যিনি এমপি হয়েছেন তারও বহু আগে থেকে নির্বাচন করে কেউ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কেউ পৌর চেয়ারম্যান, সেরকম ট্রেডিশনালি আছে। তাদের আমরা মানা করি কীভাবে? তবে এটা ঠিক হয়তো এক জায়গায় বউকে দিলো, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিলো, আরেক জায়গায়…; এইগুলো আসলে…। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীদের। আমাদের কর্মীদেরও মূল্যায়ন করা উচিত। সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেবো, নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না; এটা তো হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। আর যেন বেশি প্রভাব না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, ইলেকশন করছে। এর লক্ষ্যটা হলো নির্বাচনটাকে অর্থবহ করা।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখন অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। এই বর্জন করে কেন, আসলে নির্বাচন করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। নির্বাচন করতে হলে… যেমন সংসদ নির্বাচন করতে হলে আপনাকে তো জনগণকে দেখাতে হবে আপনার পরবর্তী নেতৃত্ব কে আসবে বা প্রধানমন্ত্রী কে হবে কিংবা নেতা কে হবেন। একটা নেতা তো দেখাতে হবে। আপনার কাছে যদি উপযুক্ত নেতা না থাকে। তখন তো আপনাকে একটা ছুতো খুঁজতে হয়… হ্যাঁ, এই যে ইলেকশন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখালাম। বাস্তবতা তো সেটাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যদি পাবলিকের কাছে নেতা হিসেবে দেখান, তারা তো সেটা মেনে নেবে না। পলাতক আসামিকে তো পাবলিক মেনে নেবে না। রাজনীতি করতে গেলে তো ঝুঁকি নিতে হয়। পঁচাত্তরের পর আমাকে দেশে আসতে দেবে না। রেহানার (জাতির পিতার কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা) তো পাসপোর্টও রিনিউ করে দেয়নি। আমার বাবার খুনিরা পুরস্কারপ্রাপ্ত, যুদ্ধাপরাধী খুনিরা ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় তো আমি দেশে ফিরে এসেছি। আমার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। এতবার বেঁচে গেলাম কেন, এটা হয়তো অনেকের ভালো লাগে না।
কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশে তো নির্বাচন হচ্ছে আমরা দেখবো। আমরা অবজারভার টিমও পাঠাবো। দেখি কেমন নির্বাচন হয়। সেখানকার মানুষ কেমন ভোট দেয়, আমরা দেখবো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com