“২২ বছর ধরে বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ : ঝুঁকিতে চার গ্রামের মানুষ” এই শিরোনামে গত শুক্রবার ১৭জুন দৈনিক সুনামকণ্ঠে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। সংবাদ পাঠের প্রতিক্রিয়ায় সুধীজনরা বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাঁশের খুঁটিতে গ্রাম বিদ্যুতায়িত করে এটা কোন ধরনের সমাজ উন্নয়ন। আর ওই গ্রামের লোকজনই বা কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এই বিদ্যুতের সেবার নামে মৃত্যুদূতের সাথে বসবাস করছে। অথচ ইতিপূর্বে গ্রামে বিদ্যুতায়িত হয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মধুরাপুর, ঊর্ধ্বনপুর, গনখা ও কামালপুর গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন টানা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এই চরম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন গ্রাম চারটির প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
বিদ্যুৎ সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার নামে সেই যে ‘জীবন-মরণ’ খেলা শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ তার উন্নয়নে অদ্যাবধি এতটুকুও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বরং স্পর্শকাতর এই ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে ক্রমাগত গ্রাহক সংখ্যা বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সংবাদটি পড়ে সুধীজনের বিস্ময়ের সাথে আমরা বিস্মিত হয়েছি। ইতোপূর্বে বিদ্যুতায়িত হয়ে ওই এলাকাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এলাকা বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করার নামে যে মানুষের জন্য মরণ ফাঁদ সৃষ্টি করা হয়েছে আমরা এর অবসান চাই। বিদ্যুতের এই অব্যবস্থাপনার কারণে যাতে আর কোনো প্রাণহানি না ঘটে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।