1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

৮১ গ্রামের ফসল রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ হচ্ছে বাঁধ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

মোসাইদ রাহাত ::
কষ্টের বোরো ফসল রক্ষায় কোন সরকারি অনুদান ছাড়াই কৃষকদের স্বার্থে ৮১ গ্রামের মানুষের সহায়তায় মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলা বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালি বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। নিজেদের অর্থায়নে বাঁশ, বস্তা নিয়ে নজরখালি বাঁধটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন বংশীকু-া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান।
জানাযায়, টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালিতে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ নিয়ে প্রতিবছরই দ্বিধায় থাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে টাঙ্গুয়ার হাওরটি ‘পরিবেশ সংকটাপন্ন’ এলাকা হওয়ায় এখানে বাঁধ দেওয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ২০২২ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারি টাকায় বাঁধ দেয়। তবে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় নজারখালি বাঁধটি ভেঙে বিপুল পরিমাণ ফসল ডুবে যায়। তবে টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালি ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ হলে ৮১ গ্রামের কৃষকের ১০ হাজারের উপর হেক্টর জমিতে লাগানো বোরো ফসল রক্ষা হবে জানান স্থানীয় কৃষকরা। তবে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করলেও সরকারি সহায়তা চান কৃষকরা। কারণ হিসেবে কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে ৫-৬ লক্ষ টাকার বাজেট থাকলেও টেকসই বাঁধ করতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন এবং প্রতি বছর যেনো সরকারি উদ্যোগেই এখানে বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর গ্রামের কৃষক কুদ্দুস মিয়া বলেন, বুধবার থেকে আমাদের ৮১টি গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় এখানে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। আমরা প্রতিবছরই এখানে বাঁধ দেয়ার দাবি জানাই। এখানে আমাদের একমাত্র বোরো ফসল লাগানো হয়। এটি আমাদের জীবিকার উৎস। এবারও সরকার থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে বাঁধ না দেয়ার সিদ্ধান্ত করে। কিন্তু আমাদের প্রায় ১০ হাজারের বেশি হেক্টর জমি রয়েছে। সেই জমির ফসলগুলো যদি তলিয়ে যায় তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে। সেজন্য সবাই মিলে নিজেদের অর্থায়নে এখানে বাঁধের কাজ শুরু করেছি।
রংচি গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, এখানে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন কারণ আমাদের নিজেদের শ্রম দিয়েও এখানে আরও ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। অনেক মাটি আনতে হবে। অনেক কাজ করতে হবে। এখানে যদি সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়, তা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।
বংশীক-া দক্ষিন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালি বাঁধ আমাদের ৮১টা গ্রামের ফসলরক্ষা করবে। আমি এমপি, ডিসি ও তাহিরপুর, মধ্যনগর উপজেলা ইউএনওদের কাছে অনুরোধ জানাই, তারা যেন ৮১ গ্রামের কৃষকের কথা চিন্তা করে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
তবে এখানে বাঁধ দেয়াটা হাওরের পরিবেশগত সমস্যা জানিয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জ জেলায় ভারী বর্ষণ শুরু হলে যাদুকাটাসহ বিভিন্ন নদীর পানির চাপ পড়ে নজরখালিসহ আরো কয়েকটি পয়েন্টে। ঢলের প্রবল ¯্রােত নজরখালি দিয়ে বিশাল টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রবেশ করলে আশপাশের হাওরগুলো অনেক ঝুঁকিমুক্ত থাকে। আর ঢলে বাধা পেলে গুরমা, মাটিয়াইনসহ অন্যান্য হাওর রক্ষা বাঁধ বিপন্ন হয়ে উঠে। এতে বেশি ফসলহানির আশঙ্কা থাকে। সেজন্য এখানে বাঁধ দেওয়াটা জরুরি বললেও আমরা এখানে বাঁধ দিতে পারি না। একবার ইউএনও সাহেবের অনুরোধে সেখানে বাঁধ দেওয়া হয়েছিলো। সেসময় প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছিলো। এখানে পাউবো কখনো বাঁধ দেয়নি। এখানে বাঁধ করতে পরিবেশগত সমস্যা আছে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com