স্টাফ রিপোর্টার ::
আধুনিকতার যুগে হারিয়ে যাচ্ছে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য- যাত্রাপালা। আধুনিক নাট্য আন্দোলনের সূচনার পর থেকে বাঙালির আদি সংস্কৃতির যাত্রাপালা আজ প্রায় বিলুপ্ত। এই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী যাত্রাপালা উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবস¤পদ) সাব্বির আহমেদ। জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ স¤পাদক শামসুল আবেদীন, সুনামগঞ্জের বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পী রমেন্দ্র কুমার, বিজিত ভূষণ রায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, যাত্রাপালার কথা মনে হলেই একটা শিহরণ অনুভব হয়। সেই ঊনবিংশ শতাব্দীতে শুরু সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এটাকে কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় সেই চিন্তা করব।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবস¤পদ) সাব্বির আহমেদ বলেন, সুনামগঞ্জ হাওরের জেলা, সংস্কৃতির জেলা। প্রতিনিয়ত সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে। আমাদের আজকের আয়োজনের প্রধান কারণ হচ্ছে পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা। আমরা এর বিকাশে সকল ধরনের সহযোগিতা করব।
জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল বলেন, যাত্রা শিল্প প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমাদের বিলুপ্ত এই সংস্কৃতিকে মূল সংস্কৃতির ¯্রােতধারায় ফিরিয়ে আনতে তিন দিনব্যাপী এই যাত্রা উৎসবের আয়োজন।
যাত্রা উৎসবের প্রথম দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি মঞ্চস্থ হয় সচীন সেনগুপ্তের রচনায় ও হাবীব সারোয়ারের নির্দেশনায়, নবযোগ, মোহনগঞ্জের পরিবেশনায় ‘নবাব সিরাজ উদ-দ্দৌলা’।
২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দিন পরিবেশিত হয় ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের রচনায় ও রমেন্দ্র কুমারের নির্দেশনায় সুনাম অপেরার ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’।
২৯ ফেব্রুয়ারি শেষ দিনে রিবেন তালুকদারের রচনা ও নির্দেশনায় জয়বাবা লোকনাথ নাট্য সংঘ দিরাইয়ের পরিবেশনায় ‘মেঘনাধ বধ’ যাত্রা পরিবেশিত হয়েছে। যাত্রাপালা প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টায় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।