সামছুল ইসলাম সরদার ::
দিরাইয়ে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ এবারও সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন হাওরপাড়ের কৃষক। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উদগল, বরাম, কালিয়াকোটা, চাপতি টাংনিসহ ৮টি হাওরের বাঁধ মেরামতের জন্য সরকার ১১০টি পিআইসির বিপরীতে ১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। ১৫ জানুয়ারি বাঁধের কাজ শুরু ও ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলেও প্রতিবছরের মতো এবার সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ না শঙ্কিত হাওর পাড়ের কৃষক।
উপজেলার টাংনি, বরাম, উদগল ও কালিয়াকুটা হাওরের বিভিন্ন বাঁধ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অধিকাংশ বাঁধের কাজই হয়নি।
টাংনি হাওর পাড়ের কৃষক সাদিকুল ইসলামসহ একাধিক কৃষক ক্ষোভের সাথে বলেন, ভূমিহীনদের কৃষক সাজিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও পাউবোর অসাধু কর্মকর্তা নিজ স্বার্থে পিআইসি গঠন করেন। প্রতিবাদ করার আমাদের গ্রামের কিছু লোকের উপর চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি এবং মানববন্ধন করেছেন। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল আজিজ চৌধুরী বলেন, টাংনি হাওরের পিআইসির ২৭, ২৮নং প্রকল্পে সরকারের ১৫ লাখ টাকা খরচ করে বাঁধের কাজ শেষ না করেই প্রভাবশালীরা নতুন করে আরও পাঁচটি পিআইসি গঠনের পাঁয়তারা করছে। অনেক পুরানো বাঁধে মাটির প্রলেপ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কালিয়াকুটা হাওরের ৬৬, ৬৭নংসহ অধিকাংশ বাঁধে ঘাস লাগানো হয়নি। ২৭, ২৮নং পিআইসিতে ৫৫-৬০ ভাগ কাজ হয়েছে। পাউবো কর্মকর্তা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন।
চাপতি হাওর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ স¤পাদক শাহিনুর আলম বলেন, হাওর রক্ষা বাঁধ মেরামতে সরকার প্রচুর বরাদ্দ দিলেও কোনো বছরই সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হয়না। এবারও সে ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। যদি পাউবো ও পিআইসিদের অবহেলার কারণে হাওরের ফসলের কোনো ক্ষতি হয় সে দারভার তাদেরকে নিতে হবে।
পাউবো উপসহকারী কর্মকর্তা এটিএম মোনায়েম আহমেদের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।