1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জামালগঞ্জে এখনও অসমাপ্ত মাটির কাজ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
জামালগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে কাবিটা প্রকল্পের কাজের সময়সীমা শেষ হলেও অসমাপ্ত রয়েছে মাটির কাজ। উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের ৪৪টি পিআইসির কাজ পরিদর্শন করে দেখা যায়, ১৪টি বাঁধের কাজ স¤পন্ন হলেও ৩০টি বাঁধের কাজ রয়েছে অস¤পূর্ণ।
হালির হাওরের ২১টি প্রকল্পের মধ্যে ১৬, ১৭, ১৮, ২৪, ২৬ ও ২৭ নং পিআইসির মাটির কাজ এখনো স¤পন্ন হয়নি। যেগুলোর মাটির কাজ শেষ হয়েছে সেগুলোর অধিকাংশ বাঁধেই করা হয়নি কমপেকসন, লাগানো হয়নি দুর্বা ঘাস। ১২নং পিআইসির বাঁধে দফায় দফায় বৌলাই নদীর ভাঙ্গনের সৃষ্টি হলেও এখনো নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। ঘনিয়ার খাড়ায় সম্প্রতি মাটি ভরাটের কাজ চললেও বাকি রয়েছে উভয় পাশে। ১৬, ১৮, ২০ ও ২১নং পিআইসির বাঁধে ঘাস যুক্ত বড় বড় চাকা মাটি লাগানো হয়েছে। পাগনা ও মিনি পাগনা হাওরের সব কয়টি পিআইসির মাটির কাজ প্রায় শেষের পথে থাকলেও কয়েকটি পিআইসিতে হয়নি কমপেকসন, লাগেনি দুর্বা ঘাস। দুটি পিআইসির সমন্বয়ে বগলাখালী ক্লোজারের মাটির কাজ শেষ হলেও লাগানো হয়নি জিও ব্যাগ ও বস্তা।
শনির হাওরের ৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৪নং জিও সেল প্রকল্প ব্যতীত অন্য ৪টির মধ্যে মাটির কাজ শেষ হলেও কমপেকসন ও দুর্বাঘাস লাগানো হয়নি। শনির হাওরের ১নং প্রকল্পের বেহেলী সংলগ্ন রহমতপুরের ক্লোজারে এখনো বসানো হয়নি জিও টেক্স। মহালিয়া হাওরের ৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৯ ও ১০নং প্রকল্পের মাটির কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়েছে। যেগুলোর মাটির কাজ শেষ হয়েছে সেগুলোর বাকি রয়েছে কমপেকসন ও দুর্বাঘাস লাগানো।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জামালগঞ্জ উপজেলার সাধারণ স¤পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ বলেন, হালির হাওরের ১২নং পিআইসির বৌলাই নদীর তীরে অনেক আগে থেকেই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। পাউবো কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে সেই ভাঙ্গা আরো গভীর জটিল আকার ধারণ করেছে। কাছাকাছি আরও একটি স্থানে ধ্বস নামা শুরু করেছে। অনেক পিআইসির ৪০ শতাংশ মাটির কাজ বাকি রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় নেই কোন পাউবোর লোক। উপজেলা কর্তৃপক্ষের মনিটরিং না থাকায় অধিকাংশ পিআইসির কাজ এখনো অসমাপ্ত। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কর্মীরা বাঁধের কাজ পরিদর্শনে প্রতিনিয়ত মাঠে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার কারণে হাওরের ফসল উত্তোলনে ব্যাঘাত ঘটলে এর দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে।
পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জনি প্রশ্নের জবাবে বলেন, কয়েকটি পিআইসির মাটির কাজ এখনো অস¤পূর্ণ রয়েছে। অতি তাড়াতাড়ি কাজ স¤পন্ন করার জন্য পিআইসির দায়িত্বশীলদের বলা হয়েছে। জনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সময় বৃদ্ধির ৭ দিনের মধ্যে সবকয়টি পিআইসির কাজ শেষ হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com