1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

২৯৭ বাঁধে মাটির কাজই শেষ হয়নি

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি ::
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো সবগুলো বাঁধে মাটি পড়েনি। যেগুলোতে মাটি পড়েছে সেগুলোতে লাগানো হয়নি ঘাস। এখনো ২৯৭টি ফসলরক্ষা বাঁধে মাটির কাজ শেষ হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ৫১টি ক্লোজার (বড় গর্ত) মাটির কাজ শেষ করা যায়নি। এছাড়াও বাঁধ টেকসই করার জন্য সবগুলো বাঁধে দুর্বাঘাস লাগানোর কথা থাকলেও মাত্র ১৬৬টি বাঁধে দুর্বাঘাস লাগানোর দায়সারা কাজ চলছে। বাকিগুলোতে কবে লাগানো হবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাই বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণের প্রথম আঘাত বাঁধের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মওসুমে জেলার ৩৭টি ছোট বড়ো হাওরের ৫৯১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সংস্কার ও ও রক্ষণাবেক্ষণে ৭৩৩ পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) কাজ বাস্তবায়ন করছে। ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সনের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সনের ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করার কথা। গত ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাত্র ৩৩৬টি বাঁধের মাটির কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দুর্বাঘাস লাগানো হচ্ছে ১৬৬টিতে। ৫৯টি ক্লোজারের মধ্যে মাত্র ১০টি ক্লোজারের কাজ শেষ করা হয়েছে। গড়ে ৮১ ভাগ কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে হাওর বাঁচাও আন্দোলন জানিয়েছে গড়ে ৬০ ভাগেরও কম কাজ হয়েছে। তাছাড়া দুর্বাঘাস লাগানোর জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাঁধে দায়সারা ঘাস লাগানোর কাজ চলছে।
শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের কৃষক সুধাকর দাস বলেন, এ বছর শাল্লায় অপ্রয়োজনীয় ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধেও বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারের টাকা লোপাট করা হয়েছে। তারপরও এখনো অনেক বাঁধে মাটি পড়েনি। উপরে প্রলেপ দিয়ে পুরনো বাঁধগুলোকে নতুন দেখানোর খেলা শুরু হয়েছে। যেগুলোতে দায়সারা কাজ হয়েছে সেগুলোতেও ঘাস লাগানো হচ্ছেনা। অথচ ঘাসের জন্যও বিপুল বরাদ্দ রয়েছে।
শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পুরনো টেকসই বাঁধে প্রলেপ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে থাকলেও এখনো তারা অনেক বাঁধেই মাটির কাজ করতে পারেনি। দুর্বাঘাসও লাগানো হচ্ছেনা। তাই এবার বাঁধ টেকসই হওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, এখনো ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়নি। অনেক বাঁধ ও ক্লোজারে মাটি পড়েনি। এবারও আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, অক্ষত বাঁধ ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে বিপুল বরাদ্দ দিয়েও সংশ্লিষ্টরা এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খন্দকার বলেন, আমরা গড়ে ৮১ ভাগ শেষ করে ফেলেছি। ১০টি ক্লোজারের কাজও শেষ। এখন যেগুলোর কাজ শেষ হয়েছে সেগুলোতে ঘাস লাগানো হচ্ছে। তবে এবারও ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সময় বাড়ানোর জন্য কথা বার্তা চলছে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com