1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি : ফসলহানি হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বিএনপি

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে এবং এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি। শনিবার দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নূরুল ইসলাম নুরুল। এসময় সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন আহমদ, নাদের আহমদ, আবুল কালাম আজাদ, সেলিম উদ্দিন, আনসার উদ্দিন, কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আনিসুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, চলতি বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলায় ৭৩৩টি প্রকল্পে ৫৯১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করার জন্য সরকার ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে বাঁধের কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী বাঁধের কাজ হয়নি। নির্ধারিত সময়ের ১ থেকে দেড় মাস পর বাঁধের কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত অধিকাংশ বাঁধের কাজই অসমাপ্ত। আর বিলম্বে পিআইসি গঠন কাজ শুরু না হওয়ার অন্যতম কারণ।
এছাড়া প্রকাশ্যে গণশুনানির মাধ্যমে পিআইসি গঠনের কথা থাকলেও তা পালন করা হয়নি। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কৃষকদের বাদ দিয়ে অধিকাংশ পিআইসি গঠিত হয়েছে কর্মকর্তাদের পছন্দের এবং সরকার দলীয় লোকজন দিয়ে। গণমাধ্যমে বিভিন্ন রিপোর্ট, কৃষকদের মতামত এবং সরেজমিনে বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন করে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে।
অক্ষত বাঁধে পুনরায় বরাদ্দ, প্রয়োজনের চেয়ে অধিক বরাদ্দ যা হাওরের কিংবা কৃষকের কোনো কাজে আসবে না। এমন অনেক প্রকল্প আছে যেগুলো পুরাতন বাঁধ কেটে নতুন বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের আর মাত্র ১১ দিন বাকি আছে। কিন্তু জেলার অধিকাংশ ক্লোজার এখনও উন্মুক্ত আছে। জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ৬৭% কাজের অগ্রগতি দাবি করলেও বাস্তবে তার চিত্র ভিন্ন। অদ্যাবধি ২৫% থেকে ৩০% কাজের অগ্রগতি হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবকটি বাঁধের কাজ স¤পন্ন করা সম্ভব নয়। হাওরডুবি এবং ফসলহানি হলে এর দায় সরকার, প্রশাসন এবং পিআইসিকেই নিতে হবে। আর ফসলহানি হলে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com