স্টাফ রিপোর্টার ::
আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক অ্যাডভোকেট রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু রচিত মুক্তিযুদ্ধের অনন্য উপাখ্যান ‘ভাটির বীরাঙ্গনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়। ডেইলি সুনামগঞ্জ.কম ও জলকন্যা সাহিত্য পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। তিনি বলেন, ভাটির বীরাঙ্গনা বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বইয়ে যে তথ্য দেয়া আছে তা সংগ্রহে লেখকের অনেক কষ্ট হয়েছে এবং সময়ও লেগেছে। লেখক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু সুদূর আমেরিকা থেকেও জন্মভূমির টানে, হৃদয়ের টানে বই লেখার মতো কঠিন কাজ করে চলেছেন। এতে দেশ ও জাতি জানতে পারবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে। এই ত্যাগ স্বীকার করায় তাঁর জীবনের সফলতা বয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, জেলার বীরাঙ্গনাদের পরিবারের কোনো সমস্যা থাকলে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
‘ভাটির বীরাঙ্গনা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত। এ সময় তিনি বক্তব্যে বলেন, রনেন্দ্র কুমার পিংকু প্রবাসে থেকে একের পর এক বই বের করে জাতিকে উপহার দিচ্ছেন। এটা বড়ই কঠিন কাজ। আজকে মোড়ক উন্মোচন হলো ভাটির বীরাঙ্গনা। এই বইয়ে জেলার ১২ বীরাঙ্গনাকে নিয়ে লেখা হয়েছে। তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বই। এই বইয়ে সুনামগঞ্জ তথা দেশবাসী অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আসাদ উল্লাহ সরকার, কবি ও লেখক সুখেন্দু সেন, দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র স¤পাদক ও প্রকাশক বিজন সেন রায়, দৈনিক সুনামগঞ্জের ডাক স¤পাদক ও প্রকাশক শেরগুল আহমেদ, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের স¤পাদক পংকজ দে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. খলিল রহমান।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেইলি সুনামগঞ্জ.কম ভারপ্রাপ্ত স¤পাদক রওনক আহমদ বখত।
পৌর কাউন্সিলর সামিনা চৌধুরী মনির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জলকন্যা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ স¤পাদক মশিউর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য সেলিনা আবেদীন, সংগীত শিল্পী তুলিকা ঘোষ চৌধুরী, ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন লিটন, সাংস্কৃতিক সংগঠক বিধান বণিক।
রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু রচিত গ্রন্থে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা বীরাঙ্গনা কাঁকন বিবি, শাল্লা উপজেলার উজানগাঁও গ্রামের পিয়ারা বেগম ও মনজান বিবি, সুনামগঞ্জ শহরের জেল রোড এলাকার বাসিন্দা বাসন্তী ধর, শাল্লা উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মুক্তা বানু, একই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা বীরাঙ্গনা জমিলা খাতুন, জাহেরা বেগম ও লাল বানু, শাল্লা উপজেলার নারকিলা গ্রামের মিনারা বেগম, দিরাই উপজেলার পেরুয়া গ্রামের প্রমিলা দাস, শাল্লা উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের কুলসুমা বিবি, জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও গ্রামের মনমোহিনী বিশ্বাস – এই ১২জন বীরাঙ্গনাকে নিয়ে লিখা হয়েছে।