সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ব্রিটেনে আবাসন সংকটে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষ। বছরের পর বছর ধরে এ সমস্যা নিয় ভুগছেন কয়েক লাখ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি। চার-পাঁচ জনের পরিবার নিয়ে অনেকে চার বছরের বেশি সময় ধরে হোস্টেলের এক রুমে বসবাস করছেন। আবার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে নিয়ে এক রুমে দিন পার করছেন অনেক মা-বাবা।
এদিকে কাউন্সিলর (বারা) ঘরের জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু অপেক্ষমাণ তালিকায় কেটে যায় ১০ বছর। তবু মিলছে না সুযোগ। এছাড়া অনেক হোস্টেলে রান্নার ব্যবস্থা নেই; একটি ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হয় ১০ জনকে।
বিশেষ করে লন্ডনের কাউন্সিলগুলোয় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা দেশটির অন্য এথনিক মাইনরিটি কমিউনিটির চেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন। সম্প্রতি ওএনএসের (অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস) জরিপে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
ব্রিটেনে প্রায় ৩৪ শতাংশ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সরকারি সামাজিক আবাসন প্রকল্পে বসবাস করেন, যা ব্রিটিশ-ভারতীয়দের তুলনায় সাত গুণ বেশি। আর সামাজিক আবাসনে বাস করেন প্রায় ১৬ শতাংশ ব্রিটিশ-পাকিস্তানি।
জরিপে আরও উল্লেখ করা হয়, জাতিগত গোষ্ঠী হিসেবে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা দেশটিতে সবচেয়ে জনাকীর্ণ পরিবেশে বসবাস করছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ বাংলাদেশি এমন পরিস্থিতিতে বাস করছেন। এটা সব ব্রিটিশ-এশিয়ানের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। যা ২৩ শতাংশ বলে সমীক্ষার ফলাফলে উঠে এসেছে।
ওএনএসের জরিপ অনুসারে, যুক্তরাজ্যে ঘরভাড়া সাত বছরের মধ্যে দ্রুত গতিতে বেড়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছ, শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ কর্মীদের তুলনায় ভারতীয় কর্মচারীদের আয় বেশি, যা প্রায় প্রতি ঘণ্টায় ১৭ দশমিক ২৯ পাউন্ড। কিন্তু বাংলাদেশিরা ঘণ্টাপ্রতি আয় করেন মাত্র ১১ দশমিক ৯০ পাউন্ড।
ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির আবাসন ও মর্টগেজ পরামর্শক আব্দুল কাদির বলেন, বেশির ভাগ বাংলাদেশি ব্রিটেনে কম বেতনে চাকরি করেন। তাই তাদের ওপর আবাসন সংকটের প্রভাব মারাত্মক। প্রাইভেট রেন্টেড ঘরের ক্ষেত্রে ভাড়া কয়েক গুণ বেশি।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলর সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর অহিদ আহমদ বলেন, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও কাউন্সিল টেক্সের অব্যাহত বৃদ্ধি জনজীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। আবাসন সংকট মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।