স্টাফ রিপোর্টার ::
প্রাইভেট না পড়ায় ১৩জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে শাল্লা উপজেলার গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রীতবাস দাশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আনন্দপুর বাজারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা শিক্ষক প্রীতবাস দাশের এমন অমানবিক কাজের ক্ষোভ এবং নিন্দা জানান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক প্রীতবাস দাশের কাছে প্রাইভেট পড়তে না যাওয়ায় তিনি ১২ ফেব্রুয়ারি আমাদের বিদ্যালয়ে পেয়ে বেধড়কভাবে পেটান। তারা বলেন, ওইদিন বেলা ১১টায় আমরা ক্লাসে ছিলাম এবং ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসমন প্রীতবাস স্যার লাঠি দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। স্যারের এমন আচরণে আমরা হতবাক হয়ে যাই। এখন আমাদের স্কুলে যেতে ভয় করছে।
এদিকে, মঙ্গলবার অভিভাবকদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অভিভাবকরা লিখিতভাবে অভিযোগ করবেন বলে জানান। বৈঠকে ইউপি সদস্য বাবলু রায়, সাবেক ইউপি সদস্য কালাই মিয়া ও মিহির কান্তি রায়সহ হবিবপুর, আনন্দপুর গ্রামের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অভিভাবক সুশীল চক্রবর্তী বলেন, আমার মেয়ের পীঠে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আঘাতের ফলে লাল হয়ে গেছে মেয়ের পীঠ। আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই।
অভিভাবক নিশিকান্ত রায় বলেন, আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের কাছে আমাদের মেয়রা অনিরাপদ। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
কৃপেশ চন্দ্র দাশ বলেন, আমার মেয়ের হাতে আঘাত করা হয়েছে। অন্য শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু দেখেছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন বিচার হওয়া দরকার।
আব্দুল খালেক বলেন, গরু ছাগলের মত পিটানো হয়েছে আমাদের মেয়েদেরকে। এরপূর্বেও ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মেরেছিলের। এটা তার জন্য নতুন কিছু নয়।
মিহির কান্তি রায় বলেন, বেধড়কভাবে মারধর করেছে ওই শিক্ষক। শুধু তাই নয়। ১১জন মেয়ে ও ২জন ছেলে শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি মারছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রীতবাস দাশ বলেন, আমি দরজায় বারি দিতে গিয়ে হয়তো কেউ আঘাত পেয়েছে। এরজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি তাদের কাছে।
এ ব্যাপারে জানতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মৃদুল চন্দ্র দাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাসের সাথেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তাকেও পাওয়া যায়নি।
সুপারভাইজার কালীপদ দাশ বলেন, খুবই অমানবিক ঘটনা এটি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।