1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বাঁধ দখল করে সবজি চাষ!

  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সোনামড়ল হাওরের সীমের খাল ফসলরক্ষা বাঁধের ২১নং প্রকল্প কাজের ১০০মিটার স্থান দখল করে সবজি চাষ করা হয়েছে। উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদে হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী নূর (৪০) এই কাজে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় গত দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাঁধের কাজ। এর প্রতিকার চেয়ে ওই হাওরের ২১নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি রবিউল মিয়া রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনামড়ল হাওরটি সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন। এই হাওরের সীমের খাল ফসলরক্ষা বাঁধের ২১নং পিআইসির সভাপতি হলেন রবিউল মিয়া ও সদস্য সচিব হলেন অজিত তালুকদার। বাঁধটির দৈর্ঘ্য দুই কিলো ৩০০মিটার। কাজের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ১২৫ টাকা। হাওর থেকে দেরিতে পানি নামায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি এই বাঁধ পুননির্মাণ ও মেরামত কাজ শুরু করা হয়। এই বাঁধের দুই হাজার তিনশত মিটার স্থানের মধ্যে দুই হাজার ২০০মিটার স্থানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১০০মিটার জায়গায় রয়েছে মিষ্টি লাউ, কাঁচামরিচ ও বেগুন খেত। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে অবশিষ্ট স্থানে মাটি ভরাটের কাজ করতে গেলে বাঁধের এই ১০০মিটার স্থান নিজের দাবি করে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজে পিআইসির লোকজনকে বাধা দেন উপজেলার বাদেহরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী নূর। এ অবস্থায় বাঁধের কাজটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলার সোনামড়ল হাওরের ২১নং পিআইসির সভাপতি রবিউল মিয়া বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের ওপর ১০০মিটার জায়গাজুড়ে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা হয়েছে। আমরা এই স্থানে কাজ শুরু করতে গেলে আমাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় শনিবার সকাল থেকে বাঁধ পুননির্মাণ ও মেরামত কাজটি বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদেহরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী নূর (৪০) বলেন, এই বাঁধের কাজটি আমি গত তিনবছর করেছি। আমার রেকর্ডীয় ১৫ একর জায়গার ওপর দিয়ে এই বাঁধটি নেওয়া হয়েছে। আমি এবার আবেদন করেও পিআইসি পাইনি। আমার জায়গায় আমি সবজি খেত করেছি। সরকারি জায়গা হলে আমি তা ছেড়ে দেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অ্যালাইমেন্টের ভেতরে ফসলরক্ষা বাঁধের ওপরে কোনো ফসলি জমি করা যাবে না। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com