স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএফআইসি ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখার সমন্বয়ে এবং সুনামগঞ্জে ২৫টি ব্যাংকের সহযোগিতায় এই কনফারেন্স ঘিরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
আইএফআইসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিজনেস ডিভিশন (বৃহত্তর সিলেট) ম্যানেজার মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রাজন কুমার দাস।
সোনালী ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখার সিনিয়র অফিসার তোড়া রায়ের সঞ্চলনায় কনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অনুপ নারায়ণ তালুকদার, একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সৌহার্দ্য রায় প্রমুখ।
পরে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক দেবাশীষ আচার্য্য।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র পারিজাত পুরকায়স্থ, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে জগন্নাথপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অন্বেষা রানী পাল ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে জামালগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখা ম্যানেজার মো. গোলাম আজাদ এবং গীতা থেকে পাঠ করেন জনতা ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা শাওন রায় চৌধুরী।
সকালে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সর বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। পরে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স এসে মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় অভ্যাস গড়ে তোলতে এবং তাদেরকে উৎসাহিত করতে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। তারা বলেন, খরচের পরে যা থাকে তা সঞ্চয় করা নয়। সঞ্চয়ের পরে যা থাকে তা খরচ করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে সকল শিক্ষার্থীদের।
তারা বলেন, যুব বয়সে সঞ্চয় করলে তা বার্ধক্যে কাজে লাগে। বক্তারা আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলতে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট নাগরিক হতে হলে শিক্ষায় স্মার্ট হতে হবে। শিক্ষায় স্মার্ট হতে হলে অর্থেও স্বাবলম্বী হতে হবে সঞ্চয়ের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীদের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ২০১৬ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে এ ধরনের অনুষ্ঠান চালিয়ে আসছি। সঞ্চয় বা লেনদেনের ব্যাপারে সুনামগঞ্জ আছে ৪ নম্বরে। এটা লজ্জার নয়। সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজেদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলতে হবে। তিনি আরও বলেন, আয় হলেই মানুষ সঞ্চয় করতে উদ্বুদ্ধ হয়। কষ্ট করে এই অভ্যাস গড়ে তোলতে পারলে জীবন পরিচালনায় অনেক সহায়তা পাওয়া যায়।