দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক ক্ষুদে শিক্ষার্থীর চিঠির জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এতে প্রমাণ হয়, তিনি তৃণমূলের মানুষের মনের ভাষা বুঝেন এবং শুনেন।
গতকাল সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালির এক স্কুল ছাত্রের লেখা চিঠির জবাব দিয়েছেন। গত ১৫ আগস্ট পটুয়াখালি গভ. জুবিলী হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির চাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস মির্জাগঞ্জ উপজেলায় পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেছিল। পরে প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠির জবাবে বলেন, শীর্ষেন্দুর চিঠি পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। ওই চিঠিতে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শীর্ষেন্দু। চিঠিতে লেখা তার আবেগমাখা কথাগুলোর প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মির্জাগঞ্জের পায়রা নদী যে অত্যন্ত খর¯্রােতা সে বিষয়ে অবগত আছেন জানিয়ে ওই নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। চিঠিতে শীর্ষেন্দু তার পরিচয় তোলে ধরে। সে পটুয়াখালি গভ. হাই স্কুলের একজন নিয়মিত ছাত্র উল্লেখ করে চিঠিতে শীর্ষেন্দু লেখে, “আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। আমাদের মির্জাগঞ্জ নদী পার হয়ে যেতে হয়… ওই নদীতে প্রচন্ড ঢেউ… কখনো নৌকা ডুবে যায়, কখনো কখনো ট্রলার ডুবে যায়।” এসব দুর্ঘটনায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন এবং সে তার বাবা-মাকে হারাতে চায় না। কারণ সে তাদের খুব ভালোবাসে। তাই মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানায় শীর্ষেন্দু।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদে স্কুল ছাত্রের আবেগমাখা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর মনে দাগ কেটেছে। তিনি ওই চিঠির জবাবই দেননি শুধু সেই সাথে চিঠিতে লেখা মির্জাগঞ্জ নদীতে ব্রিজ নির্মাণের দাবি পূরণেরও আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠির জবাব দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর উন্নত মানসিকতা ও অনন্য ব্যক্তিত্বের জন্য অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে ক্ষুদে স্কুল ছাত্রের ব্রিজ নির্মাণের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।