1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

অরক্ষিত দেখার হাওর : ক্লোজারে মাটি ফেলতে বাধা দিচ্ছে প্রভাবশালীরা

  • আপডেট সময় শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

হোসাইন আহমদ ::
শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক এই চার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে বোরোভা-ার দেখার হাওরের অবস্থান। এই হাওরে রয়েছে ১২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। চলতি বছর শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওর অংশের উথারিয়া বাঁধের মূল ক্লোজারে মাটি ফেলতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে বাধা দিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এর ফলে পুরো দেখার হাওর অরক্ষিত থাকবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের উথারিয়া বাঁধের মূল ক্লোজার ৪৪নং পিআইসি’র অধীনে। পিআইসি কমিটির সভাপতি রাজা মিয়া ও সাধারণ স¤পাদক আতাবুর রহমান। দেখার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের সময়সীমা গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭৪ দিন। কিন্তু ইতিমধ্যে ৪৮ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রভাবশালী মৎস্যজীবী, জনপ্রতিনিধিদের চাপে পিআইসি কমিটির লোকজন মূল ক্লোজারে কাজ করতে পারছেন না। বাঁধের মূল ক্লোজার ৪৪নং পিআইসি’র অধীনে ১২০ মিটার অংশের দুই পাশে কাজ শুরু হলেও উথারিয়া বাঁধের মূল ক্লোজারের কাজ স¤পন্ন না হওয়ায় দেখার হাওরের ১২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখার হাওরের বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আশপাশের পিআইসি বড় বড় ড্রাম ট্রাক দিয়ে বাঁধে মাটি ফেলছে। পাশাপাশি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধে বাঁশের মাচা তৈরি করে মাটি ফেলা হচ্ছে। তবে দেখার হাওরের উথারিয়া বাঁধের মূল ক্লোজার এখনো অরক্ষিত রয়েছে।
দেখার হাওরের কৃষক সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফ জানান, শান্তিগঞ্জ উপজেলার উথারিয়া ক্লোজার এই হাওরের ডেঞ্জার পয়েন্ট। এই ক্লোজার অরক্ষিত রেখে পুরো হাওরে কাজ করলে কোনো লাভ হবে না। আগাম বন্যা আসলে বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবো না। আমরা অনেক শঙ্কায় আছি। প্রতি ৩ বছর পরপরই এই অঞ্চলে একবার আগাম বন্যা আসে। বিগত ৩ বছর আমরা ভালভাবে ফসল উঠিয়েছি। এ বছরটা কৃষকদের জন্য দুর্যোগের বছর মনে হচ্ছে।
পিআইসি কমিটির সভাপতি রাজা মিয়া জানান, দেখার হাওরের মূল ক্লোজারে কাজ করতে পারছি না। কিছু প্রভাবশালী লোক ও মৎস্যজীবীরা আমাদেরকে উথারিয়ার মূল ক্লোজারে মাটিতে ফেলতে দিচ্ছেন না। তাদের জলমহালের পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে মূল ক্লোজারটি বন্ধ করতে পারছি না। গতকাল থেকে তাদের জলমহালের পানি ছাড়া শুরু করেছে। এতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে আমার পিআইসি’র দুই পাড়ে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন দুই অংশে ড্রেসিং ও দুর্মুজ করার কাজ শুরু হবে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ইয়াছিন খাঁন বলেন, দেখার হাওরের উথারিয়া বাঁধের মূল ক্লোজারটি দেখার হাওরের ভেতরে অবস্থিত জলমহালের পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে উথারিয়া ক্লোজারটি বন্ধ করা হবে। না হলে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, উথারিয়া ক্লোজার দিয়ে হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ক্লোজারটি খোলা রাখা হয়েছে। তবে দুই পাশে কাজ চলমান রয়েছে। হাওরের পানি নেমে গেলেই উথারিয়া ক্লোজারটি বন্ধ করে বাঁধের কাজ স¤পন্ন করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com