স্টাফ রিপোর্টার ::
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুরের সাতটি ইউনিয়নে ৩৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে প্রবাসী প্রার্থী রয়েছেন ১৮ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ৩ জন প্রবাসী। বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ৪ জন প্রবাসী। এছাড়া আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ৯জন প্রবাসী ও বিএনপিতে রয়েছে ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী। জাতীয় পার্টি থেকে একজন প্রবাসী প্রার্থী রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা হলেন, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আরশ মিয়া, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবুল হাসান ও আশারকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাহ আবু ঈমানী। বিএনপি থেকে যাঁরা মনোনীত হয়েছেন তাঁরা হলেন কলকলিয়া ইউনিয়নে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্ব রফিক মিয়া, পাটলী ইউনিয়নে রফিকুর রহমান রফু, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নে আব্দুর রব ও পাইলগাঁও ইউনিয়নে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জালাল উদ্দিন। জাতীয় পার্টি থেকে দলীয় মনোনয়ন দাখিল করেছেন গয়াস উদ্দিন।
এছাড়াও নির্বাচনী যুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে যেসব প্রবাসী মাঠে নেমেছেন তাঁরা হলেন, কলকলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম। পাটলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজুল হক, আশিকুর রহমান (স্বতন্ত্র)। চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রাশিদ।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী মজলুল হক, আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল হাফিজ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সুজায়েল আহমদ দুলন।
সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী তৈয়ব মিয়া কামালী। আশারকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল আহাদ মদরিছ। পাইলগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর আলী আফজল, বিদ্রোহী প্রার্থী শামীম আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মখলুছ মিয়া নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতেই প্রবাসী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারও অনেক প্রবাসী বিজয়ী হতে প্রাণপণ চেষ্টা করবেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।