পত্রিকান্তরের সংবাদ থেকে জানা গেছে যে, ‘দিরাইয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য বিক্রি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার দুপুরে দিরাই বাজারের কলেজ রোড এলাকায় এমন অভিযান পরিচালিত হয়।’ দেশজুড়ে এরকম অভিযান অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। কেবল শিশু খাদ্যের বেলায় নয়, সকল প্রকার খাদ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে এমন অভিযান প্রতিনিয়ত পরিচালনা করা দরকার। কারণ বিষয়টি জনস্বাস্থের জন্য অতীব জরুরি। অসুস্থ মানুষ জনশক্তি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। বরং দেশের ঘাড়ে বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। উৎপাদিত সামগ্রী ব্যবহার করে বটে কিন্তু উৎপাদনে অংশ নিতে পারে না। দেশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। এই উন্নতিকে ধরে রাখতে হলে এবং তার অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখতে হলে সৃজনশীল পর্যায়ে উৎপাদনে পুরোপুরি অংশ নিতে পারে এমন সুস্থ জনশক্তির দরকার। এই সুস্থ জনশক্তি পেতে হলে মানুষকে ভেজালহীন ও মেয়াদ না-পেরিয়ে-যাওয়া খাদ্য খাওয়াতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। অন্যথায় দেশের সমগ্র জনশক্তি আধুনিক প্রাগ্রসর প্রযুক্তি ব্যবহারে অনুপযোগী ও মেধাহীন বিকল জনশক্তিতে পরিণত হবে। বিদেশ থেকে লোক এনে দেশ চালাতে হবে। এমন হতে পারে না।
দেশে খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ হচ্ছে ব্যাপকাকারে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সবজি ও ফলমূলে মেশানো হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্যবিরোধী বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক। এমনকি চিড়া তৈরি হয় ইউরিয়া সার সহযোগে। তাছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণতার ব্যাপার তো আছেই। উন্নয়নের পাশাপশি দেশের জনগণের জন্যে নির্ভেজাল খাদ্যচক্র গড়ে তেলতে না পারলে অর্জিত উন্নয়ন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। তাই দেশের মানুষ একটি নির্ভেজাল খাদ্যচক্র গড়ে তোলতে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যাশায় আছেন।