ইসরায়েল যখন গাজার হাসপাতালগুলো গুড়িয়ে দেয়, সেখানে সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি গেড়েছে, এই অজুহাতে, তখন বিশ্ববাসীর কিংবা জাতিসংঘের কিচ্ছু করার থাকে না এবং আমেরিকা ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন প্রত্যাহার করে না, বরং সমর্থনের জন্যে কোনও না কোনও একটি বাহানা দেখিয়ে অন্যরকম একটি মূল্যবোধ তৈরি করে নেয়। এই মূল্যবোধের কেরদানি-ক্যারিসমার ক্ষমতা অনেক। বিশ্ববাসীকে কাঁচকলা দেখাতে ভীষণ পারঙ্গম। এই মূল্যবোধ পোষণ করে ইসরায়েল বিশ^বাসীকে জানান দেয়, “পশ্চিমাদের নৈতিক মূল্যবোধের সুযোগে সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের নিচে তাদের ঘাঁটি গেড়েছে। আর গাজাবাসী সেটা চেয়ে চেয়ে দেখেছে। তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর ধ্বংস ডেকে এনেছে। যেকোনো উপায়ে সব জায়গা থেকে সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন করতে হবে। হাসপাতালের ভেতরে থাকা সন্ত্রাসীদের সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া শুধু সঠিকই নয়, এটা আইডিএফের দায়িত্বও।” এর বিপরীতে নিরপেক্ষতার নিকুচি করতে করতে আমেরিকা ইসরায়েলকে সমর্থনের মূল্যবোধের মূলে আরও কীছুটা জল সিঞ্চন সম্পন্ন করে। এদিকে এই আমেরিকাই বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাদাগিরিতে ব্যস্ত হয়ে বিরোধী দলগুলোকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বাহানায় সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দেয়। আসলে গাজায় আর বাংলাদেশে আমেরিকার ভূমিকা মূলত একই, যেটাকে বলে যে-করেই হোক সা¤্রাজ্যবাদের আধিপত্য বিস্তারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও বাজার দখল করা। তেকারণে আমেরিকা গাজায় ইসরায়েলকে ও বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতকে লেলিয়ে দিয়েছে।
দেশে বিএনপির আবরোধ কর্মসূচি চলছে। খুন-জখম, ভাংচুর, অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত আছে। গাজায় ইসরায়েলের গৃহীত ভূমিকার মতোই বাংলাদেশে বিএনপির ভূমিকা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দেশের অবস্থা এমন নাজুক হয়ে পড়েছে যে, মধ্যবিত্ত লোকজনদেরও আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। নি¤œবিত্ত ও গরিব মানুষের দুর্দশা তো অবর্ণনীয়। আপাতত এর বেশি কীছু বলার নেই। কেবল বলি, অবরোধ তোলে নিন। সাম্রাজ্যবাদী দেশ আমেরিকার পরামর্শ মেনে দেশের সর্বনাশ করার কোনও মানে হয় না। সকল রাজনীতিক দল একত্রে বসে নির্বাচনের উপায় নির্ধারণ করুন। সাম্রাজ্যবাদী হাত থেকে দেশকে বাঁচান, নিজেরা বাঁচুন।