প্রবন্ধটির নাম ‘স্থিতিশীল রাজনীতিতে বিদেশি শক্তির প্রভাব’। কে লিখেছেন, কেন লিখেছেন, সেটা কোনও বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, লেখক তাঁর প্রবন্ধে আপাতসত্য সমাজবাস্তবতার বয়ান উদ্ধৃত করেছেন। এই বাস্তবতাটা আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিদেশী শক্তির আস্ফালন সংক্রান্ত।
বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচনিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মনে করেন, “… আওয়ামী লীগ যেভাবে বিদেশি শক্তির প্রভাব উপেক্ষা করেই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে সেটি আসলে নয়া উপনিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। নিজ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষারও লড়াই। অন্যদিকে নব্য রাজাকারের দল ও দোসর এদেশের সংবিধান মানবে সে প্রত্যাশা কেউই করে না। বর্তমানে যে দলগুলো বিদেশি শক্তিকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক নয় সেই দলগুলোই নির্বাচনে আসবে। বিদেশি শক্তি কি একে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলবে? নিজ স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে কখনোই বলবে না। ফলে বিদেশি শক্তির প্রভাব এড়াতে সংবিধান মেনেই নির্বাচন হওয়া উচিত। আশা করি, আওয়ামী লীগ বিদেশি শক্তির কাছে নতি স্বীকার করবে না।”
দেশে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বগত আচরণ বিশ্লেষণ করে এমন কথা একজন বলতেই পারেন। আর এই বলার মধ্যে যে দেশের বর্তমান রাজনীতিক পরিস্থিতি কিংবা বাস্তবতার প্রকাশ নেই এমনটা সাব্যস্ত করাও বোধ করি সঙ্গতও হবে না। নির্মম সত্য তো এটাই যে, দেশকে নয়া উপনিবেশিকতার শৃঙ্খলে আরও শক্ত করে বেঁধে ফেলার অশুভ তৎপরতা চলছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করবো যে, শেখ হাসিনা দেশকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। দেশের মানুষÑ কারও হাতের খেলনা সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোকÑ এমন খাল কেটে কুমির আনার অমঙ্গল চান না। তেকারণে সকল রাজনীতিক দলের কাছে আমাদের আহ্বান রইলো, আপনারা নয়া উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে একাট্টা হোন।