উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে ক্ষুধামুক্তির লড়াইয়ে আরও একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। কনসার্ন ওয়াল্ড ও ওয়েন্ট হাঙার হিলপে চলতি বছরে “বিশ^ ক্ষুধা সূচক” জরিপ প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের স্কোর গতবছর ছিল ১৯.১। যা কমে ১৯ পয়েন্টে নেমেছে। এই সূচকে ১৯ স্কোর হল যে সব দেশে ক্ষুধার সংকট মাঝারি পর্যায়ে সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। ক্ষুধার সূচকে গতবছর ১১৬টি দেশের মধ্যে ৭৬তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এবার চলতি বছরে “বিশ^ ক্ষুধা সূচক” যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ১২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। ২০১২ সালের পর থেকে ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখ্যযোগ্য উন্নয়ন এটি।
তীব্র ক্ষুধা সংকটের পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত স্কোর ২৮.৬ পয়েন্টে থেকে মাঝারি মাত্রায় ১৯ স্কোরে নেমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৫ সালের পর থেকে যে সাতটি দেশ ওই সূচকের স্কোর ৫ পয়েন্ট বা তার বেশি কমতে পেরেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
স্কোরের দিক দিয়ে প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান ৪৯.৬, মিয়ানমার ৪০.২, ভারত ৩৮.৪, নেপাল ৩৭.২, পাকিস্তান ৩৬.৭ ও শ্রীলঙ্কা ২১.৭, তবে সবচেয়ে ভালো বাংলাদেশ, যার স্কোর ১৯। ডি.এইচ.আই বা বিশ^ ক্ষুধা সূচক তথ্য মোতাবেক স্কোর বাড়লে ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি আর স্কোর কমলে ক্ষুধা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।
স্কোরের মধ্যে দেশগুলোর অবস্থানকে ৫টি ধাপে ভাগ করে খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি বুঝানো হয়। স্কোর ৫০ এর বেশি হলে জাতির জন্য উদ্বেগজনক, স্কোর ৩৫ থেকে ৪৯.৯ এর মধ্যে থাকলেও উদ্বেগজনক, স্কোর ২০ থেকে ৩৪.৯ এর মধ্যে থাকলে গুরুতর, স্কোর ১০ থেকে ১৯.১ এর মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং স্কোর ৯.৯৯ নিচে হলে পরিস্থিতি নি¤œ।
বাংলাদেশের চলতি বছরের স্কোর ১৯ অর্থাৎ পাশর্^বর্তী যে সব দেশগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার চেয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। দেশটি উন্নয়নের সাথে সাথে ক্ষুধা মুক্তির লড়াইয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া মানে এটি বর্তমান সরকারের সাফল্য। আর এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার মতো একজন নেতা আমাদের দেশের নেতৃত্বে থাকায়। দেশের প্রতিটি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে তাঁর কোনো বিকল্প নেই। এই দেশ শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘সোনার বাংলা’য় রূপান্তর হোক – এটাই প্রত্যাশা।