গত শুক্রবারের (১৩ অক্টোবর ২০২৩) পত্রিকান্তরে সংবাদ শিরোনাম করা হয়েছে, ‘সুনামগঞ্জ পৌরসভার বাউলবান্ধব উদ্যোগ।’ সংবাদবিবরণীতে লেখা হয়েছে, ‘প্রেমের মানুষ ঘুমাইলেও চাইয়া থাকে’ এমন বিখ্যাত গানের রচয়িতা বাউল জবান আলীসহ ১০ জন বাউলকে প্রতি মাসে সম্মানী দেবার উদ্যোগ নিয়েছে সুনামগঞ্জ পৌরসভা। সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেপ্টেম্বর মাসের সম্মানী হাতে তুলে দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেন। লোক সংস্কৃতির ‘রাজধানী’ হিসেবে খ্যাত সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় অসংখ্য বাউল রয়েছেন। যারা সমাজের অসঙ্গতি দূর করার জন্য নিজেরা গান রচনা করেন। তাতে মানুষের মনের খোরাকও হয়। ভাটির এই শহরে বাউলদের কদর থাকলেও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তারা। সুনামগঞ্জ পৌরসভা রেজুলেশনের মাধ্যমে এসব বাউলদের আর্থিক সহায়তা দেবার উদ্যোগ নিয়েছে। পৌরসভার এই উগ্যোগে খুশি বাউলরাও।’
গত বৃহস্পতিবার ছিল ১২ অক্টোবর ২০২৩। এই তারিখটি এই জন্যে সুনামগঞ্জের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে যে, বাঙালি সংস্কৃতির ধারক-বাহক ও চর্চায় নিরত অর্থাৎ লোকসংস্কৃতির সঙ্গীতধারায় সাধনারতদের পৃষ্ঠাপোষকতায় একজন পৌরপতি (যাঁকে বিলেতি কেতায় ‘মেয়র’ বলা হয়) তাঁর সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এইভাবে লোকশিল্পীদেরকে সম্মাননা প্রদর্শনের বিষয়ে তাঁর এই মহতি উদ্যোগ শিল্পীদের বেঁচে থাকার সংগ্রামে যতটা সহায়ক হবে তার চেয়েও বেশি পরিমাণে বাঙালি সংস্কৃতিকে জিইয়ে রাখা ও উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে বিদগ্ধমহলের ধারণা। আমরা তাঁকে তাঁর এই মহতি উদ্যোগ শুরু করার জন্যে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই এবং আশা রাাখি, সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্যান্য ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করছেন কালক্রমে তাঁদেরকেও এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।