‘মডেল শহর গড়ায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’ শিরোনামে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরীর বরাতে দৈনিক সুনামকণ্ঠে গত ১ অক্টোবর সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব হলরুমে এক নাগরিক সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। ‘শহর সুনামগঞ্জ : পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রত্যাশায় নাগরিক সংলাপ’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করেছিল।
সুনামগঞ্জ শহর একদা ‘ভিলেজ টাউন’ ছিল। পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানের এক সিনিয়র সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী বেড়াতে এসে সুনামগঞ্জকে ভিলেজ টাউন বলে অভিধা দিয়েছিলেন। সেই ভিলেজ টাউন এখন আর নেই। শহরে পরিণত হওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে নব্বই দশক থেকে। তবে এখনো শহরের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো পায়নি। নাগরিক সুবিধা বঞ্চনার সঙ্গে পরিকল্পিত শহর গড়ে তোলার দায় ও দায়িত্ব তেমনভাবে নেওয়া হয়নি। যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে শহরবাসী মানবসৃষ্ট বঞ্চনায় হাবুডুবু খেতে দেখা যায়। এক অপরিকল্পিত শহরের ছবিও দেখা যায় যত্রতত্র।
শহরের প্রাণ ও প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে নির্মাণ পরিকল্পনা আজতক নেওয়া হয়নি বলে সুধীজনের অভিযোগ। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিক প্রভাবের কাছে আইনও মার খায়। যার ফলে বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখি যে যেভাবে পারে স্থাপনা করে। যার ফলে শহরের পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, দুর্ভোগ বাড়ে।
এই উদ্বেগজনক বিষয়টি মাথায় নিয়েই শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি সময়োপযোগী নাগরিক সংলাপটি করেছে। যেখানে প্রশাসন ও পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছিলেন।
এখানে সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক যে বক্তব্য দিয়েছেন তা যথাযথ। এই শহরের পরিকল্পিত উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করলে এটা সম্ভব। শুধু কর্তৃপক্ষের উপর ছেড়ে দিয়ে হাতপা গুটিয়ে বসে থাকা সচেতন নাগরিক সমাজের পরিচয় বহন করেনা। তাই আমাদের শহরের উন্নয়নে সম্মিলিত উদ্যোগ চাই। পাশাপাশি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিকতাও প্রয়োজন। তাহলেই শহর সুনামগঞ্জকে আমরা পরিকল্পিত শহর হিসেবে অদূর ভবিষ্যতে দেখতে পাবো।