1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ধর্ষণ প্রতিরোধে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে

  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পত্রিকান্তরে লেখা হয়েছে, ‘গত ৮ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৯৩ জন কন্যাশিশু। এছাড়া ১০১ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে একক ধর্ষণের শিকার ৩২২ জন, গণধর্ষণের শিকার হয় ৭২ জন কন্যাশিশু, প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু রয়েছে ৩৯ জন। এছাড়া প্রেমের অভিনব ফাঁদে ফেলে ৭০ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’ এমন তথ্য জানার পর কী ধরণের অমানবিক, সহিংস ও নৃশংস এক অসভ্য সমাজে আমরা বাস করছি তার একটি ক্ষুদ্র কিন্তু ভয়ঙ্কর নমুুনা উপস্থিত হয়।
উপর্যুক্ত তথ্য প্রকাশ পেয়েছে কিন্তু অপ্রকাশ্যে থেকে যাওয়া তথ্যের ভয়ঙ্কর মুখগুলো আমরা কখনওই দেখতে পারবো না। কারণ ধর্ষক এবং ধর্ষিতাদের কেউই তাদের যথাক্রমে অপরাধের ও ভোগান্তির বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেবেন না। অবুঝ তসলিমা নাসরিনকে তাঁর দশ বছর বয়সে তাঁর সরাফ মামা তাঁকে যৌনসঙ্গমের স্বাদ গ্রহণ করিয়েছিলেন। আইনানুসারে সেটা ছিল ধর্ষণ। তৎক্ষণাৎ সে-ধর্ষণের তথ্য আমাদের কাছে প্রকাশ পায় নি। বিদ্রোহী তসলিমা যখন বড় হয়ে লিখতে শুরু করলেন তখন তাঁর লেখা থেকে নিকটাত্মীয় কর্র্তৃক তাঁর ধর্ষিত হওয়ার সংবাদ জানা গেলো। এই দেশে সংঘটিত অপ্রকাশ্যে থেকে যাওয়া এমন অনেক অনেক ধর্ষণের ঘটনা আমরা জানতে পারি না, সে-গুলো পরিসংখ্যানের বাইরে থেকে যায়, সব সময়ের জন্য। এ-দিক থেকে বিবেচনায় ৮ মাসে ৪৯৩ কন্যাশিুর সংখ্যাটি প্রকৃত সংখ্যার একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র, অর্থাৎ বাস্তবে সংঘটিত ধর্ষণের সংখ্যার তুলনায় নিতান্তই তুচ্ছ একটা কীছু এবং তার সঙ্গে ধর্ষণের শিকার প্রাপ্তবয়স্কাদের সংখ্যাটা যোগ করলে তা হবে একটি বিশাল সংখ্যা। এখন প্রশ্ন হলো এমতাবস্থায় কী করণীয়? করণীয় সম্পর্কে বলতে গেলে সম্পাদকীয়র স্বল্পপরিসর উপযুক্ত স্থান নয়, তার জন্য কীছুটা হলেও ব্যাপক পরিসর চাই। তারপরেও বলতে হবে বলে নিতান্ত সংক্ষেপে বলি, করণীয় একটাই, সমাজটাকে পুরোপুরি ধর্ষণপ্রতিরোধী করে তোলতে হবে। সে-টা খুব সহজ কাজ নয়। প্রথমেই সমাজের চলিতকর্মের প্রতিটি স্তরে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে নারীপুরুয়ের সর্বপ্রকার বৈষম্য দূর করতে হবে। তা না করতে পারলে নারীরা ধর্ষিত হতেই থাকবেন, সম্মতিসম্মত উপায়ে যৌনতাচর্চার পরিবেশ তৈরি হবে না এবং ধর্ষণপ্রক্রিয়া প্রকৃতপ্রস্তাবে আরোপিত হবে নি¤œবিত্তের পরিসরে অবস্থানকারী নারীদের উপর। কারণ বিবাহবহির্ভূত যৌনতার লজ্জা তাঁদের উপর আরোপিত হয় বা তাদেরকেই কেবল স্পর্শ করে, উচ্চবিত্তের পরিসরে সেটা কোনও ধর্তব্যের বিষয় বলে বিবেচিত হয় না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com