‘পুষ্টিকর খাবারের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে’ এই কথাটি কে না জানেন। কিন্তু যথাযথভাবে প্রচার করেন না তেমন কেউ। কেউ কেউ করেন। জনসমক্ষে উচ্চারণ করার ক্ষেত্রে অবহেলিত হয়ে আসছে যে-সব বিজ্ঞানসম্মত কথা তারই একটি হলো পুষ্টিকর খাবার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তোলার নির্দেশনা। মনে রাখতে হবে, একটি দেশে সুস্থসক্ষম জনবল তখনই গড়ে উঠতে পারে যখন সে-দেশে সর্বস্তরের মানুষের জন্য মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। একটি দেশ কিংবা রাষ্ট্রের জন্য সৃজনশীল ও সুস্থসক্ষম জনবল গড়ে না উঠলে সে-দেশ বা রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পর্যবসিত হতে বাধ্য। কারণ সুস্থসক্ষম জনবল না থাকলে কোনও দেশ বা রাষ্ট্র হেনতেন প্রকারেণ পরিচালনা করা গেলেও সেটা থেকে যায় পরনির্ভর ও নিতান্ত পিছিয়ে পড়া রাষ্ট্রের কাতারে এবং প্রকারান্তরে প্রকৃত উন্নয়নের ছোঁয়া সে-দেশ বা রাষ্ট্র কখনই পায় না। আমাদের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এক আনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে ‘পুষ্টিকর খাবারের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে’ জাতির সুস্থসক্ষমতা অর্জনের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ এই পথনির্দেশের কথাটিই উচ্চারণ করেছেন। তাঁকে অশেষ ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
সকলেই চায় পুষ্টিকর খাবার খেতে। কিন্তু জানা কথা সে-বিষয়ে যেমন সচেতন হতে হবে তেমনি তার বিপরীতে পুষ্টিকর খাবার উৎপাদন ও প্রাপ্তির ব্যবস্থাটিকেও নির্বিঘœ, সুগম, প্রশস্ত, সুলভ ও দামের দিক থেকে সস্তা করে তোলতে হবে। নি¤œবিত্তের মানুষেরাও যেনো পুষ্টিকর খাবার সহজে খেতে পায়। সম্প্রতি ডিমের দাম যেমন চক্রীয় চক্রান্তের কেরদারিসমা দেখিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তেমনি করে পুষ্টিকর খাদ্যকে ক্রমাগত মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার করে তোললে জনগণের ভেতরে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সচেতনতা গড়ে তোলে কোনও কাজ হবে বলে মনে হয় না। সুতরাং আগে চাই স্বাস্থ্যানুকূল দূষণমুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন, উৎপাদনের পর ভোক্তার ভোগে লাগার আগের সময়টিতে সে-খাদ্যটি দূষণমুক্ত রাখার নিশ্চয়তা ও সেটাকে সকল মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সীমায় রাখা।