একটি শুভসংবাদ বেরিয়েছে। সংবাদটির শিরোনাম, ‘ভার্ড চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প’। গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের এই সংবাদ শিরোনামের নিচে লেখা হয়েছে, “ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অর্থায়নে ও ভার্ড চক্ষু হাসপাতাল সুনামগঞ্জের উদ্যোগে এবং হাওর উন্নয়ন সংস্থা (হাউস)-এর সার্বিক সহযোগিতায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যা¤প অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হাজী মজিদ উল্লা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ক্যা¤েপর আয়োজন করা হয়। এতে মোট ১৪০ জন চক্ষু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং ৪৫ জন ছানি রোগীকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।” শেষে লেখা হয়েছে, “উপস্থিত অতিথি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ ধরনের মহতি উদ্যোগের জন্য ভার্ড চক্ষু হাসপাতাল এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ক্যা¤পে ভার্ড চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল টিম সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।”
কিন্তু বর্তমান কিংবা প্রতিষ্ঠিত সমাজসাংস্থিতিক বাস্তবতা হলো দেশের সকল স্থানে বছরের প্রতিদিন এই বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া চলবে না, চলবে কালেভদ্রে। কিন্তু জনগণের প্রত্যাশা হলো বছরের প্রতিদিন, যে-কোনও রোগের জন্য, এই বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কার্যক্রম চলুক। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান চলবে, কারও মর্জিমাফিক চলবে না। বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের উপর্যুক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা উদ্যোক্তাদের বদান্যতায় মুগ্ধ হয়ে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বিদগ্ধ মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, এই বিনামূল্যে চিকিৎসার্থে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কোনও প্রয়োজন পড়তো না এবং পড়বে না যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্র পরিচালনার মুখ্যনীতি সমাজতন্ত্র কায়েম করা যায়। রাষ্ট্রীয় চারনীতি আধুনিক-বৈজ্ঞানিক উন্নত প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সমন্বিত করে দুর্নীতিমুক্তভাবে কার্যকর করা হলে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা অর্থনীতির নিয়মেই প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। অবশ্য পুঁজিবাদী পদ্ধতিতে প্রচলিত শোষণমুক্তির পথ পরিহার না করে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার কোনও আশা করা দিল্লি দূরস্থ।