গত বুধবারের (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের এক সংবাদপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক, পাগলা আউশকান্দি সড়ক, ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কসহ সুনামগঞ্জের সড়কপথের উন্নয়নে ১ হাজার ৭৪২ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে।” পশ্চাদপদ সুনামগঞ্জের প্রেক্ষিতে এই খবরটির একটি সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য আছে, যে-কেউ একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জের অর্থনীতির ব্যাপক পরিসরে একধরনের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের হাওয়া বইবে, পরিধির কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত পর্যন্ত। প্রকারান্তরে পশ্চাদপদতার গ্লানি ধীরে ধীরে মুছে যাবে সুনামগঞ্জের সমাজসাংস্থিতিক পটভূমি থেকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের সুনামগঞ্জের বিভিন্ন অংশ ফোর লেনসহ ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ অংশও ফোর লেন হবে। পাশাপাশি পাগলা-আউশকান্দি সড়ক ও ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কও প্রশস্ত হবে। সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কে একাধিক সেতু নির্মাণ এবং জগন্নাথপুরের কাটাগাঙ নদীতেও সেতু নির্মিত হবে।”
গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেশের অন্যান্য কতক প্রকল্পের সঙ্গে সুনামগঞ্জের উন্নয়নের জন্য উপর্যুক্ত প্রকল্প অনুমোদন করেন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচেষ্টার দৃষ্টান্ত হিসেবে এই অনুমোদন সুনামগঞ্জের উন্নয়নের ইতিহাসে প্রজ্জ্বোল মাইলফলক হয়ে থাকবে। পত্রিকায় লেখা হয়েছে, “অনুমোদন লাভ করায় খুশি সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ।” তারপর আর আমাদের কী করণীয় থাকতে পারে? বলতেই হয়, আমরাও যৎপরনাািস্ত আনন্দিত হয়েছি। তারপর আমরা কেবল আশা করতে পারি এই বিশাল উন্নয়নকর্ম বাস্তবায়নের কর্মক্রিয়াটিকে যেনো বরাবরের মতো দুর্নীতিবাজরা নিজেদের স্বার্থোদ্ধারের ক্ষেত্র করে না তোলে। আর সেই সঙ্গে প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। তিনি দীর্ঘজীবী হোন, আন্তর্জাতিক বলয়ে তাঁর বিশ^মাঙ্গলিক প্রভাব বরাবরের মতো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাক।