গতকালের (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের এক সংবাদপ্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “সুনামগঞ্জে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) জন্য কক্ষ, শয্যাসহ সব যন্ত্রপাতি প্রস্তুত থাকলেও কেবল প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অভাবে এটি চালু হচ্ছে না। যে কারণে সুনামগঞ্জের মানুষ এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আইসিইউ সেবা প্রাপ্তির জন্য যেতে হয় বিভাগীয় শহর সিলেটে। এতে অর্থ, সময় ব্যয়ের সঙ্গে রয়েছে ভোগান্তিও।”
স্বাস্থ্যসুরক্ষার নিশ্চয়তা বিধানের ক্ষেত্রে পশ্চাদপদ অবস্থায় সুনামগঞ্জের অবস্থান আজকের নয়, এখানে স্বাধীনোত্তর কাল থেকেই সমাধানের অপেক্ষায় অনেক সমস্যা এখনও পর্যন্ত সমস্যা হয়েই বিদ্যমান আছে। ফিরিস্তি দেওয়ার দরকার নেই। অগণিত স্বাস্থ্যসমস্যার সমাধানের স্বপ্ন নিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হয়েছে এখানে, বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ‘প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অভাবে’ কার্যত এটি চালু হতে পারছে না পুরোদমে।
এইকুটু বলার পর আমাদের আর বিশেষ কীছু বলার নেই, একটা কথাই কেবল বলার আছে। এই হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবলের নিয়োগ নিশ্চিত করা হোক। যাতে জেলার হাজার হাজার ব্যাধিগ্রস্ত বিপন্ন মানুষের চিকিৎসার্থে বলতে গেলে একমাত্র ভরসাস্থলটি চিকিৎসাসেবা দিতে না পারা ভবনসর্বস্ব হাসপাতালে পর্যবসিত না হয়।