গত শুক্রবার (১১ আগস্ট ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত লাউড়েরগড় সীমান্ত হাট নিয়ে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন পড়লাম। প্রতিবেদনের এক স্থলে লেখা হয়ছে, “অপরদিকে সীমান্ত হাটে প্রবেশকারীদের ভিড় ঠেকাতে প্রবেশ টিকেট বিক্রির পদ্ধতি চালু হয়েছে। তিন কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশ টিকেট ৫০ টাকা। নিজস্ব ভিটের ৪৮ দোকানী মালিকের প্রবেশ টিকেট ১০০ টাকা। বাইরের পর্যটকদের প্রবেশ টিকেট ২০০ টাকা। স্থানীয় ৩৫০ জনের প্রবেশ টিকেট ৫০ টাকা করে দেয়া হয়। অতিরিক্ত মানুষজন আসায় সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে ৫০ টাকা করে দেয়া নির্দেশনা রয়েছে। টিকেট পদ্ধতি চালু হওয়ায় একদিকে যেমন ভিড় কমেছে, অপরদিকে ক্রেতা ও পর্যটকের আগমন কমেছে।”
কিন্তু প্রশ্ন হলো ভিড় ঠেকানো বা নিয়ন্ত্রণের কৌশলের ভেতরে হাটুরেদের পকেট কাটার অর্থাৎ প্রবেশ টিকেট বিক্রির পদ্ধতি চালু করা কেন? হাটে প্রবেশ করতে গেলে টাকা লাগবে কেন এবং এই টাকা কি সরকারি রাজস্ব হিসেবে সরকারি তহবিলে জমা হবে? এ বিষয়ে জনগণ কি কীছু জানেন? হাটুরেদের পকেট ফাঁকা করার জন্যে কি সীমান্তহাট প্রতিষ্ঠার কোনও প্রয়োজন আছে? এ ক্ষেত্রে অন্যকোনও পদ্ধতি অবশ্যই চালু করা যেতো, যে-পদ্ধতিতে হাটে প্রবেশকারীদের নিকট থেকে টাকা আদায় করার বিষয়টি সচেতনভাবে পরিহার করা সম্ভব ছিল। অভিজ্ঞমহলের ধারণা তেমন পদ্ধতি কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা হলেই প্রয়োগ করা যেতে পারে। হাটে প্রবেশের অর্থমূল্য আদায়ের বিষয়ে আপাতত তেমন কীছু বিস্তারিত বলতে চাই না, আর সে-অবকাশও নেই। কেবল বলি, আমরা যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে টাকার বিনিময়ে প্রবেশ টিকেট দেওয়ার পরিবর্তে বিনামূল্যে প্রবেশ টিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করার দাবি করছি এবং এই দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়িত হবে এই প্রত্যাশা করছি।