সম্প্রতি সুনামগঞ্জের ৫টি খাল পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। পৌরসভা ও জেলাপ্রশাসনের যৌথ কর্মপ্রয়াসে সে কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু জনসাধারণ খালগুলোর পুনরুদ্ধারের জন্য নির্ধারিত ক্ষেত্রফল সম্পর্কে কীছুই জানেন না। এই জন্য অভিজ্ঞমহলের ধারণা, দখলকৃত খালের তফশিলভূমির বিবরণ (এস এ খতিয়ান ১৯৫২ অনুসারে) গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ আবশ্যক। কারও কারও মতে চলতি কাজ একটি পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে থেমে যেতে পারে, আগেরবারের মতো। কিন্তু আমরা মনে করছি এই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত থামবে না। যদি থেমে যায় তবে পৌরসভা ও প্রশাসনের প্রচেষ্টা কার্যত গতবারের মতোই অপূর্ণ থেকে গিয়ে দখলকারদেরকে পুনরায় স্থাপনা প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেবে এবং প্রকারন্তরে খাল উদ্ধারের কার্যক্রম একটি প্রহসনে পরিণত হয়ে আপাতত জনদাবিকে উপেক্ষা করার সুচতুর কৌশলে পর্যবসিত হবে। খাল উদ্ধারের কার্যক্রমের এমন পরিণতি সুনামগঞ্জবাসীর অভিপ্রেত নয়। আমরা আবারও বলি, এবার আশা করি ব্যর্থতা পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনকে স্পর্শ করবে না।
গণমাধ্যমে এই ৫টি খালকে একদা বিদ্যমান জলধারা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জলধারা শব্দটি জলাধার শব্দটিকে মনে করিয়ে দিয়েছে। সুনামগঞ্জের জলাধারগুলো একে একে অক্কা পাচ্ছে। অর্থাৎ পুকুরগুলো ভাবন-স্থাপনা নির্মাণের জন্য দখল হয়ে যাচ্ছে। যেমন শহরের পৌর পানি শোধনাগার নির্মিত হয়েছে একটি পুকুর ভরাট করে এবং কালিবাড়ির পুকুরটি দখলচ্যুতির চাপে মরণাপন্ন অবস্থায় টিকে আছে। ব্যক্তিমালিকানধীন ছোটখাটো পুকুরগুলোও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অনেক আগেই। বিদগ্ধমহলের অভিমত এই যে. এখনও পর্যন্ত যে-ক’টা পুকুর কোনও রকমে টিকে আছে সেগুলোকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা উচিত এবং স্বয়ং পৌরসভাকে পুকুর ভরাট করে স্থাপনা প্রতিষ্ঠায় রত হওয়া উচিত নয়।