স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না একজন চিকিৎসক। নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ না হয়েই আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং প্রকারান্তরে চিকিৎসাশাস্ত্র মতে তাঁর কাছে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীদের করোনা সংক্রমণ করছেন। রোগীদের যাঁরা আক্রান্ত হবেনÑ এমন না হোক, এই কামনা করিÑ তাঁরা যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে মারা যান, তা হলে এই রোগীর মৃত্যুর জন্য অবশ্যই দায়ী হবেন এই চিকিৎসক এবং আসলে তখন তিনি হন্তারক হয়ে উঠবেন, মানুষ খুনের স্বেচ্ছাকৃত অপরাধ বর্তাবে তাঁর উপর।
(সুনামকণ্ঠ : ৯ জুলাই ২০২৩) লেখা হয়েছে, ‘ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোসতানশির বিল্লাহ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।’ রোগীর সেবা দেওয়া চিকিৎসকের কর্তব্য, কিন্তু করোনাসংক্রমিত চিকিৎসকের সেবা করোনা সংক্রমণকে সম্ভব ও অবাধ করে তোলবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এমনকি এর ফলে করোনার প্রাদুর্ভাব মাত্রা ছাড়িয়ে মহামারিও হয়ে উঠতে পারে, সে-আশঙ্কাকেও একবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যা ব্যাপক সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় পর্যবসিত হতে পারে। এমতাবস্থায় এই চিকিৎসক কি আসলেই চিকিৎসক পদবাচ্য কেউ নাকি মনোবিকলনগ্রস্ত? সঙ্গত কারণেই বিদগ্ধমহলে এই প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি প্রশ্ন উঠেছে, করোনাসংক্রমিত চিকিৎসকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অপরাপর লোকজনও কি করোনাসংক্রমণের ভয়াবহ পরিণতির কথা একবারেই অবগত নন? এমন অপরিণামদর্শিতা থেকে দেশ ও জাতির রক্ষার উপায় কী? কারও কাছে কী এর কোনও সদুত্তর আছে?
এর বেশি কীছু না বলে আমাদের কথা আমরা বলছি। আমরা এই চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি এবং তিনি যখন চিকিৎসাশাস্ত্র সম্মত স্বাস্থ্যনিয়ম মাফিক সুস্থ মানুষের সংশ্রববিরত থাকছেন না তখন সাধারণ মানুষের উচিত তাঁর সংশ্রব পরিহার করা এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশার প্রবণতাকে প্রতিহত করা, অর্থাৎ যে-করেই হোক সামাজিকভাবে অসুুস্থ থাকা পর্যন্ত তাকে একঘরে করে তোলা সঙ্গত কারণেই অতীব প্রয়োজন। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের উচিত তাঁকে এই অপরাধের জন্য শাস্তির সম্মুখিন করা, এমনকি সমাজের সাধারণ মানুষের প্রাণরক্ষার স্বার্থে আইনি পদ্ধতিতে তাঁর চিকিৎসকের সনদ বাজেয়াপ্ত করা অসঙ্গত কীছু হবে বলে মনে হয় না। যে-চিকিৎসক জেনেশোনে রোগের বিস্তার ঘটান সমাজে এমন অপরিণামদর্শী চিকিৎসকের কোনও প্রয়োজন নেই।