১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার কার্ড পেতে গরিবের পাশে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন ধনীরাও। গতকাল (১২ জুন ২০২৩) পত্রিকান্তরে এমন সংবাদপ্রতিবেদন পাঠ করা গেছে। তারপর বলতেই হয়, সত্যি অবাক করার মতো ঘটনা বটে। বিচিত্র এই দেশ, বিচিত্র এই দেশের মানুষ, বিচিত্র এই দেশের ধনীরা। কিন্তু আমরা যাই বলি বিদগ্ধজনেরা কিন্তু তা বলছেন না। তাঁরা মোটেও বৈচিত্রের কীছু প্রত্যক্ষ করছেন না ধনী মানুষদের মাত্র ১০ টাকায় ১ কেজি (বর্তমানে বাজারে ১ কেজি চালের দাম ৬০ টাকার মতো) চাল পাওয়ার কার্ডধারী হওয়ার জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠার আচরণে। বরং তাঁরা বলছেন : আমাদের দেশের ধনীরা দেশ লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি, গাড়ি, বিয়ে করছেন, দেশের সম্পদ পাচার করে বিদেশি ব্যাংকে ব্যালেন্স বাড়াচ্ছেন এবং তার জন্যে দেশের ভেতরে দুর্নীতি, জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, ব্যাংকলুট তো করছেনই তদুপরি রাজনীতির মাঠ দখল করা থেকে শুরু করে সকল পদপদবী, নদীখালবিলচর, ব্যবসাবাণিজ্য, সকল উন্নয়নকর্ম, আইন-প্রশাসন ইত্যাদিসহ সব কীছু দখল করে নিচ্ছেনÑ এমনকি খুন পর্যন্ত করতে কসুর করছে না। এমতাবস্থায় তাঁরা (এই দেশের ধনীরা) ১০ টাকায় চাল পাওয়ার কার্ডধারী হতে লাইনে দাঁড়াবেন না এমন হতেই পারে না। যদি তাঁরা না দাঁড়াবেন তবে তাঁরা তাদের চরিত্র হারাবেন, সেটা তো কীছুতেই হতে পারে না. চরিত্রহীন হওয়া মোটেও ভালো কথা নয়।
এ প্রসঙ্গে আপাতত এর বেশি কীছু বলতে চাই না। যে-সব ধনীরা এই লাইনে দাঁড়ান নি তাঁদের জানাই কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। আর ধনী যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেদের চরিত্রকে প্রকাশ করেছেন সে জন্য তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, দয়া করে আপনারা কাতার থেকে সরে পড়–ন। আর একটি কথা বলি, ধনীদের লাইনে দাঁড়ানোর সুযোগ রেখে কার্ড দেওয়ার এই পদ্ধতি থেকে বিরত থাকা যেতো এমন ব্যবস্থা করা যেতো যাতে ধনীরা লাইনে দাঁড়ানোর সুযোগই পেতেন না।