গত রবিবার (১১ জুন ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের এক সংবাদপ্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ‘সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক চার লেনে উন্নীত হবে’, এবংবিধ আশা ব্যক্ত করেছেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
কথাটি নতুন নয়, অনেক পুরনো। অতীতে অনেকেই এ নিয়ে কথা বলেছেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মতো কথাবার্তা বলেছেন। পরবর্তীতে বছরের পর বছর গড়িয়ে গেছে কাজের কাজ কীছুই হয় নি, সুনামগঞ্জের উন্নয়ন যেই লাউ সেই কদুই থেকে গেছে। এর আগেও জাতীয় সংসদে আমরা মন্ত্রী পেয়েছি, কিংবা প্রভুত প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের পেয়েছি। এই সদর সুনামগঞ্জ থেকেই পেয়েছি মন্ত্রী। এমন কি ব্রিটিশ আমল থেকে সুনামগঞ্জ থেকে মন্ত্রী হয়েছেন কোনও কোনও জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু সুনামগঞ্জের ভাগ্যে উন্নয়নের সিকে ছিঁড়েনি কখনও, অর্থাৎ তখন তেমন কীছু হয় নি। ইতিহাস অন্তত এটাই বলে। ব্যতিক্রমটা শুরু হলো আমরা যখন মন্ত্রী হিসেবে এমএ মান্নানকে পেলাম। সত্যিকার অর্থেই তিন আমাদের সুনামগঞ্জের গর্ব, তিনি যোগ্য জনপ্রতিনিধি, মানুষের আশা-ভরসার স্থল, তিনি স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে কাজ করেন এবং পূরণ করতে জানেন।
অতীতে এমন হয়েছে, রাজনীতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের নিজস্ব রূপরেখার চিত্র আঁকতে কোনও রাজনীতিবিদ হয় তো বা অচিরেই সুনামগঞ্জে রেলপথ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু সফল হতে পারেন নি। সুনামগঞ্জের রাজনীতিক কর্মকা-ের ঠিকুজি অনুসন্ধানে নিয়োজিত হলে সামগ্রিক উন্নয়ন-প্রগতি প্রচেষ্টতার সাপেক্ষে এমনি অনেক ব্যর্থতার উদাহরণ উপস্থিত হবে। চেষ্টা করে অনেকেই হেরে গেছেন কিংবা প্রকৃতপ্রস্তাবে কোনও চেষ্টাই করেন নি। কিন্তু এবার কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী, তিনি সুনামগঞ্জের ভরসাস্থল, তিনি কর্মসফল মানুষ এবং তাঁর কথা কাজে পরিণত হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে। আমরা সুনামগঞ্জবাসী তাই আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষায় আছি। ইতোমধ্যে তিনি সুনামগঞ্জের জন্য অনেক কীছু করেছেন। এবারও অর্থাৎ ‘সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক চার লেনে উন্নীত হবে’ আমরা তাঁর এই প্রতিশ্রুতির সাফল্য কামনা করি এবং সেই সঙ্গে সমগ্র সুনামগঞ্জ সমভাবে তাঁর কর্মপ্রয়াসের সফলতার অংশীদার হবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।