‘৩০ টাকায় বোরো ধান, ৪৪ টাকায় চাল কিনবে সরকার’। এই ছিল গত শুক্রবারের (১৪ এপ্রিল ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম। সংবাদ বয়ার্ণনায় বলা হয়েছে, ‘প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা। ২০২২ সালে বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ধান-চাল ও গমের মূল্য ছিল …ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং গম ১৮ টাকা।’
প্রকৃতপ্রস্তাবে কথা হলো, সরকার নির্ধারিতমূল্য অপরিবর্তিত রাখতে হবে, কোনও অজুহাতেই কিংবা কোনও ব্যবসায়িক কৌশলের কারসাজিতেই যেনো কমে না যায়। যদিও ধান-চাল বিক্রির আগে প্রতিবছরই সরকারের পক্ষ থেকে ঘটা করে দাম নির্ধারণ করা হয় এবং যথারীতি কৃষক সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করতে না পেরে নির্ধারিত মূল্যের কম দামে বিক্রয় করতে বাধ্য হয় এবং সে-বিক্রয়মূল্যটা যথারীতি ধানের উৎপাদন খরচের কম হয়ে যায়। কৃষকের লোকসান হয় এবং ফড়িয়াদের টাকার কুথিতে বাড়তি মুনাফা জমা পড়ে।
বোরো ধান বিক্রির প্রতি মৌসুমে ধানের বাজার কাঠামোগত পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করে বোরো ধানের মূল্যকে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে ক্রয় করার পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। বাধ্যবাধকতার এই ফাঁদ থেকে কৃষককে রক্ষা করতে হবে। যে-অবস্থা কিংবা ব্যবস্থায়ই বোরো ধান বিক্রি করা হোক না কেন, সরকার নির্ধারিত দাম যেনো কৃষক পেতে পারেন তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।