প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তাদেরকে দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের একীভূত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার একের পর এক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করছে। প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতায় বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি জনগণ। জনগণই সমস্যা ও সংকটের উত্তরণ ঘটায়। আর প্রতিবন্ধীরাও এই সমাজেরই একটা অংশ। তাদের কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। প্রতিবন্ধীদের দক্ষ জনশক্তিতে গড়ে তোলতে হবে। প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূল¯্রােতের সাথে নিয়ে আসতে না পারলে দেশের সার্বিক অগ্রগতি আশাহত হবে। প্রতিবন্ধীদের যোগ্য করে গড়ে তোলতে জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে আলাদা অধ্যায় রয়েছে। আগের চেয়ে অনেক বেশী প্রতিবন্ধীবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও অটিজম বিষয়ে দেশ-বিদেশে কাজ করছেন। প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূল¯্রােতে নিয়ে আসতে সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সময় ও সুযোগ পেলে তারাও সমাজের অন্য স্বাভাবিক ব্যক্তিদের মতো তাদের মেধা দিয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারে।
গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদ শিরোনাম ছিলো- “বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন এমএ মান্নান”। সংবাদপাঠে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের বাংলোর উত্তর পাশে সুনামগঞ্জ শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়-৭৪ এবং সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
আমরা আশাবাদী, প্রতিবন্ধীদের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হলে সুনামগঞ্জের প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষার দ্বার প্রসারিত হবে। এবং সেই সাথে প্রতিবন্ধীরা যোগ্য ও দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠবে। আমরা মনে করি, প্রতিবন্ধীদের প্রতি তাদের পরিবারকেও যতœশীল হতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধীরা এগিয়ে যাক, তারা দেশের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হোক। সকলের ভালোবাসায় প্রতিবন্ধীরা এগিয়ে যাক Ñ এটাই প্রত্যাশা।