দেশের উন্নয়ন অব্যাহত আছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ধন বৈষম্যও বাড়ছে, ঠেকানো যাচ্ছে না। বোধকরি সংশ্লিষ্ট কারও ঠেকানোর কোনও গরজ নেই। সকলেই সকলের স্বার্থোদ্ধারের তালে আছে। এতে করে স্বল্প সংখ্যক মানুষ ধনী হলেও অধিক সংখ্যক মানুষ তুলনামূলকভাবে গরিব হচ্ছে এবং এই গণগরিবি অনিবার্যভাবে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিঘিœত করছে। যেমন যারা পাটলাই নদীতে নৌজটে পড়া কয়লাবোঝাই নৌকা থেকে কয়লা ডাকাতি করছে তারা কেউ বড় কোন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন। তারা সকলেই তুলনামূলকভাবে গরিব। যৎকিঞ্চিৎ আর্থনীতিক স্বাচ্ছন্দ পেতে উপার্জনের সহজ পথ হিসেবে তারা কয়লা ডাকাতিকে বেছে নিয়েছে। টাকাওয়ালাদের আরও টাকা উপার্জনের পথ যেমন খোলে রেখেছে বর্তমান আর্থনীতিক ব্যবস্থা, বিপরীতে তেমনি অধিকাংশ মানুষের হাতে কোনও-রকমে জীবন নির্বাহের মতো আয়-উপার্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে। ফলে মানুষ পেটের দায়ে শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা কমে যাওয়া পাটলাই নদীতে নৌজটে আটকে পড়া কয়লাবোঝাই নৌকা থেকে কয়লা ডাকাতি করে সংসার চালানোর টাকা উপার্জনে নেমে পড়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখের দৈনিক সুনামকণ্ঠে তারই প্রতিফলন মেলে যখন কয়লা ডাকাতির শিরোনাম করা হয় ‘অনিরাপদ নৌপথ : কয়লাবাহী নৌকায় ডাকাতি’।
এমতাবস্থায় দুই ধরনের কাজ করা যেতে পারে। সংক্ষেপে বললে বলতে হয়, গ্রামাঞ্চলে মানুষের জীবনের Ñ বিশেষ করে দারিদ্ররেখার অব্যবহিত উপর-
নিচের মানুষজনের Ñ খাদ্যনিরাপত্তসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে এবং অন্যদিকে নৌজটে আটকেপড়া কয়লাবাহী নৌকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তহবে। তা করার জন্য পুলিশি পাহারা ও সংশ্লিষ্ট নদী এলাকায় টহলদারির ব্যবস্থা করতে হবে।