ছাতক নদী বন্দর উদ্বোধন। এটি আশা জাগানিয়া একটি বারতা। অবশ্য ছাতক নদী বন্দর আরো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। ছাতক নদী বন্দর উদ্বোধনকালে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শহজাহান খানও এ কথাটিই বলেছেন। ছাতক শিল্পশহর হিসেবে দেশব্যাপী সমাদৃত। বালু, পাথর ও চুনাপাথর, সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ নানা সম্পদে ভরপুর ছাতক উপজেলা। আমরা মনে করি, দেরিতে হলেও শিল্পশহর ছাতক তার যথার্থ মর্যাদা লাভ করেছে।
ছাতকের প্রধান ব্যবসা হচ্ছে, পাথর ও সিমেন্ট। ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর সংগ্রহ করে নদীপথে তা সরবরাহ করার একটি সহজ রুট হচ্ছে ছাতক। তাই এখানে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ ব্যবসায় সম্পৃক্ত। ছাতক থেকে পাথর সরবরাহ করে সেই পাথর সিলেট, ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খুব সহজে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাছাড়া ছাতক লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কোম্পানিসহ এখানে তিনটি সিমেন্ট কোম্পানি রয়েছে।
“ছাতক নদী বন্দর উদ্বোধন” শিরোনামে গতকাল দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান নদী বন্দর উদ্বোধনকালে বলেছেন, বালু, পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর উপর ভিত্তি করেই জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাতককে নদী বন্দর ঘোষণার গুরুত্ব দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, শুধু ফলক উন্মোচন করেই নদী বন্দরের কাজ শেষ নয়। এখানে জেটি, মেরিন কোড, পল্টুন, নদী খনন, টার্মিনাল ভবনসহ রাতে জাহাজ চলাচলের জন্য থাকবে বিশেষ বাতির ব্যবস্থা। নদীপথে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌ-পুলিশ নিয়োগ দিয়েছেন। ছাতক নদী বন্দর বাস্তবায়নে সব ধরনের সরকারি সহযোগিতাও করা হবে।
ছাতক উপজেলা নদী বন্দর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ছাতকের ব্যবসায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে। ছাতক নদী বন্দর হওয়ায় নিঃসন্দেহে ছাতক তথা বৃহত্তর সিলেটবাসীর জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। ছাতক নদী বন্দর উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রী ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।