শহরের মানুষ নানা দুর্ভোগ নিয়ে বাস করেন। এর মধ্যে যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই। সুনামগঞ্জবাসীর জন্য যানজট অচেনা দৃশ্য হলেও, বর্তমানে আলফাত স্কয়ার (ট্রাফিক পয়েন্ট) থেকে পুরাতন বাসস্টেশন পর্যন্ত যত্রতত্র যানবাহন পার্কিংয়ে দিন দিন যানজট বাড়ছে। অথচ এ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হওয়া উচিত। ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো ইত্যাকার সমস্যা তো বহু পুরনো, যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে যত্রতত্র যানবাহন পার্কিংকেই দায়ী করা হচ্ছে।
শুধু যানজটের কারণে নাগরিক জীবনের কোনো সময়সূচি মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। শহরের যানজট নাগরিকদের মনোরাজ্যে প্রতিদিনই সৃষ্টি করছে বিরূপ প্রভাব। যানজটের কারণে একদিকে মানুষের যেমন ভোগান্তি বাড়ছে অন্যদিকে বাড়ছে বিড়ম্বনা।
গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠে শীর্ষসংবাদ শিরোনাম ছিল, “আলফাত স্কয়ার – পুরাতন বাসস্টেশন : যত্রতত্র যানবাহন পার্কিংয়ে যানজট’। সংবাদপাঠে জানা যায়, কালিবাড়ি মোড়ে অটো গাড়ি ও অটোরিকশা মূল সড়কে পার্কিং করা থাকে। এতে সড়ক সংকুচিত হওয়ায় দুই দিক থেকেই জটের সৃষ্টি হয়। ফলে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। কামারখাল থেকে হোটেল নূরানী পর্যন্ত সকাল সন্ধ্যা প্রাইভেট কার ও লাইটেসের বহর দেখা যায়। তাদের নির্ধারিত কোন পার্কিং বা স্টেশন না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় গাড়ি পার্কিং করে রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। বিকেলের পরে এই এলাকা চলে যায় পুরোপুরি ঢাকাগামী বাসের নিয়ন্ত্রণে। এই গাড়িগুলো পার্কিং করে রাখায় মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে বিকেল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত এই এলাকায় ঘনঘন যানজটের সৃষ্টি হয়। পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় অটোটে¤পু নির্ধারিত স্থানে পার্কিংয়ের কথা থাকলেও অনেক সময় চালকরা মূল সড়কে লেগুনা গাড়ি পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়। মূল সড়কের দুইদিকে লেগুনা গাড়ি পার্কিং করে রাখায় এই এলাকায় যানজট লেগেই থাকে।
ঈদের আর মাত্র কিছুদিন বাকি, ঈদ এলেই সাধারণত শহরে ক্রেতা ও যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে যায়। বিশেষত আসন্ন ঈদে মানুষ যাতে যানজটের ভোগান্তির মুখে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যতœবান হতে হবে। তাছাড়া যানজট নিরসনে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। গ্রহণ করতে হবে কঠোর পদক্ষেপ।