শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধে অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ‘স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম’ নামের কার্যক্রম ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে দীর্ঘদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ থাকায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উজ জামানের দিকনির্দেশনায় ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে উপজেলার ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্য থেকে সদরপুর, রথপাড়া, হাসনাবাজ, দামোধরতপী, পিঠাপশী, পাথারিয়া, জীবদ্বাড়া, বড়মোহা, সলফ, ডুংরিয়া, শত্রুমর্দন, আক্তাপাড়া ও আমরিয়া সরকারি প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় আনা হয়েছে। এই প্রোগ্রামে প্রতিটি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে মা সমাবেশের মাধ্যমে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। এতে মূলত প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আনন্দদায়ক করতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষে মেডিটেশন, হ্যাপিনেস ক্লাস, অভিভাবক ও মা সমাবেশ ইত্যাদির প্রচলন করা হয়েছে।
উপজেলার সদরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকাীর শিক্ষিকা রুমি বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, নিয়মিত উপস্থিতি, তাৎক্ষণিক বুদ্ধি, ক্লাস, নিজস্ব সৃজনশীলতা, হাতের লিখা, নাচ-গান, ড্রয়িং সব ১০টি ক্যাটাগরিতে ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীকে এক মাসের জন্য স্টার স্টুডেন্ট নির্বাচিত করা হয়। পাশপাশি ওই স্টার স্টুডেন্ট শিক্ষার্থীর মাকে মা সমাবেশের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়। এতে করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম খাঁন জানান, উপজেলার ৯৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্য থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় আনা হয়েছে। এই প্রোগ্রামটির কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে স্কুলমুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার উজ জামান জানান, সুনামগঞ্জ জেলার জন্য স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রামটি খুবই উপযোগী। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে মূলত এ প্রোগ্রামটি চালু করা। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধ, আনন্দদায়ক শ্রেণি পাঠদান, তাদের মেধা বিকাশের লক্ষ্যেই এই স্টার স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম। ধীরে ধীরে এই প্রোগ্রামের সুফল আরও বৃদ্ধি পাবে।